‘আলোকিত নারী’ সম্মাননা পাচ্ছেন শবনম ও মমতাজ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ৭ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
গুনী অভিনেত্রী শবনম ও ফোক সমাজ্ঞী মমতাজ এবার ‘আলোকিত নারী ২০১৯’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। আগামী ৮ মার্চ রাজধানীর একিটি অভিজাত হোটেলে আরটিভি আয়োজিত ‘আলোকিত নারী ২০১৯’ সম্মাননা অনুষ্ঠানের তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হবে।
শবনম দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রের একজন নিবেদিত অভিনেত্রী হয়ে কাজ করছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয়, পাকিস্তানেও তুমুল জনপ্রিয়তা। ১১ বার পেয়েছেন সেখানকার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি নিগার অ্যাওয়ার্ড। ঢালিউডে সর্বশেষ কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেত্রী।
অন্যদিকে মমতাজ বেগম শুধু গান গেয়েই মানুষের মন জয় করেননি, জনপ্রতিনিধি হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এবারসহ টানা তিনবার তিনি জাতীয় সংসদে নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। নিজেকে নিবেদিত করেছেন সমাজ সেবায়।
এ সম্মাননা পাওয়ায় অভিনেত্রী শবনম বলেন, এই সম্মাননা আমার চলার পথকে আরো অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে। কারণ একজন নারী হিসেবে এই স্বীকৃতি আমাকে আরো আলোকিত করবে। আজ আমার স্বামী সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষ বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতো। এই সম্মাননার সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালে বাংলা চলচ্চিত্র 'হারানো দিনের' মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শবনম। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র 'চান্দা' ছবির মাধ্যমে তৎকালীন সমগ্র পাকিস্তানে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান। এ দু'টি ছবিই তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হন।
সত্তর দশকের শুরুতে শবনম ললিউডে (লাহোর) পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। তিনি নায়িকা হিসেবে পাকিস্তানে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত প্রবল প্রতাপে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন। সম্ভবতঃ বিশ্বে তিনিই একমাত্র চলচ্চিত্র অভিনেত্রী যিনি ১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত তিনটি দশক ধারাবাহিক ও সফলভাবে রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করে অগণিত দর্শক-শ্রোতার মন জয় করেছিলেন।