গুনাহ যেভাবে নেককাজ থেকেও উত্তম হতে পারে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:১৩ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার
আমরা আদম সন্তান ভুল করি, ভুলে যাই, বিস্মরিত হই। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় প্রবৃত্তির তাড়নায় আমরা গুনাহ করে ফেলি। কিন্তু প্রতিদিনের ভুল ও গুনাহ থেকে ফিরে আসাই আমাদের একেকটি দিনের সফলতা।
দিনশেষে আমরা যখন অনুশোচিত হবো, গুনাহটির জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করবো, তখন আমাদের এ গুনাহ বরং আমাদের কোন কোন নেক আমলের চেয়ে উপকারী সাব্যস্ত হতে পারে। কেননা এর মাধ্যমে বান্দা মূলত আল্লাহর দিকে আরও বেশি অগ্রসর হয়, আরও বেশি নেক আমল করে। আর আল্লাহ তো বান্দার ক্ষমা প্রার্থনার দৃশ্য খুবই পছন্দ করেন!
গুনাহগারের ক্ষমা প্রার্থনা করাকে আল্লাহ এতই পছন্দ করেন যে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
والذي نفسي بيده، لو لم تذنبوا، لذهب الله بكم، وجاء بقوم يُذْنِبُونَ، فيستغفرون اللهَ تعالى، فيغفر لهم
“ওই স্বত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! যদি তোমরা গুনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ তোমাদের তুলে নিয়ে এমন এক জাতিকে আনতেন যারা গুনাহ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, অতঃপর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেবেন।” –সহিহ মুসলিম-২৭৪৯
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
كلُّ بني آدم خَطَّاءٌ, وخيرُ الخَطَّائِينَ التوابون
“প্রত্যেক আদম সন্তানই পাপী, আর পাপীদের মধ্যে উত্তম যারা তাওবা করে।” – তিরমিযি-২৪৯৯; ইবনে মাযাহ-৪২৫১; আহমাদ-৩/১৯৮
আল্লাহর কাছে বান্দার মনে অনুশোচনা সৃষ্টিকারী গুনাহ সেই সওয়াবের কাজের থেকে উত্তম, যেই সওয়াবের কাজ তার মনে অহংকারের সৃষ্টি করে। গুনাহের অনুশোচনার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তওবা করার ফলে বান্দা আল্লাহর আরও নিকটবর্তী হয়ে যায়। অন্যদিকে সওয়াবের কাজের অহংকার বান্দাকে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।