সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এসে গেল রজব মাস

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

আজ শুক্রবারের সূর্য ডোবার সাথেই পবিত্র রমযানের আগমনী বার্তা নিয়ে উপস্থিত হলো মহিমান্বিত মাস রজব৷

 

‘রজব’ অর্থ সম্মানিত। ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে আরবরা এ মাসকে খুবই সম্মানের সঙ্গে দেখত। এ মাসের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় তারা সবরকমের হানাহানি, মারামারি ও যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে দিত। এ জন্যই তারা এ মাসকে রজব নামে অভিহিত করেছিল।

ইসলাম এসেও এ মাসের মর্যাদার কথা ঘোষণা করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ۚ ذَٰلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ ۚ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنفُسَكُمْ
‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২টি, যা আল্লাহর কিতাব (বিধান) অনুযায়ী সেই দিন থেকেই চালু আছে, যেদিন আল্লাহ আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান৷ অতএব, তোমরা এমাসগুলোতে নিজেদের উপর জুলুম করো না৷’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩৬)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
السنة اثنا عشر شهرا ، منها أربعة حرم ، ثلاثة متواليات : ذو القعدة وذو الحجة والمحرم ورجب شهر مضر الذي بين جمادى وشعبان
‘১২ মাসে বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সর্বাধিক সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক—জিলকদ, জিলহজ ও মহরম আর চতুর্থটি হলো রজব, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মাঝখানে অবস্থিত।’ (বুখারি শরিফ : ২/৬৭২)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন,
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান’।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন, রমজান আমাদের নসিব করুন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১/২৫৯)

তবে স্মরণ রাখতে হবে যে শরিয়তের পক্ষ থেকে এ মাসের জন্য বিশেষ কোনো নামায ও ইবাদতের পদ্ধতি বলে দেওয়া হয়নি। তাই ইবাদতের জন্য মনগড়া ও ভিত্তিহীন কোনো পন্থা অবলম্বন করা যাবে না। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তাই এ মাস থেকেই তাওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহর দিকে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে।