রাজনীতিতে মিমি নুসরাত
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:১৪ এএম, ১৬ মার্চ ২০১৯ শনিবার
১১ এপ্রিল প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের ২২টি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ মার্চ ঘোষিত এই তালিকার সবচেয়ে বড় চমক টালিউডের দুই শীর্ষ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান। বাস্তব জীবনেও তাঁরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
মিমি লড়বেন যাদবপুর আসন থেকে, নুসরাতের জন্য বরাদ্দ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। কিছুদিন আগে থেকেই নুসরাতের রাজনীতিতে আসা নিয়ে কানাঘুষা থাকলেও মিমির নাম এসেছে বড় চমক হয়ে। যদিও দুজনই আগে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, তবে এত দ্রুত যে সরাসরি নির্বাচনে আসবেন ধারণা করা যায়নি। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর সেদিনই সন্ধ্যায় যাদবপুরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নেন মিমি। মনোনয়ন পাওয়ায় খানিকটা অবাক অভিনেত্রী নিজেও, ‘এটা অপ্রত্যাশিত! তবে দিদি যখন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সেটা পালনের।’ অবাক নুসরাতও, ‘হকচকিয়ে গেছি। মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। তবে মানুষের পাশে থাকতে চাই, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’ দুই অভিনেত্রীই জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আসায় সিনেমা ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বসিরহাট মুসলিমপ্রধান এলাকা। এই ফায়দা তুলতেই মুসলিম অভিনেত্রী নুসরাতকে মনোনীত করা হয়েছে। আর যাদবপুরে বিজেপির শক্ত পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে তৃণমূলকে, যা মোকাবেলার জন্য মিমির তারকা ইমেজ কাজে লাগানোর চিন্তা করা হয়েছে।
মিমি, নুসরাত দুই নতুনের পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় আরো আছেন গেলবার নির্বাচন করা তারকাদের কয়েকজন। এবারও ঘাটাল থেকে লড়বেন দেব, বীরভূম থেকে শতাব্দী রায়। আসন বদলে আসানসোল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মুনমুন সেনকে। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। তবে বাদ পড়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায় আর কৃষ্ণনগরের তাপস পাল।