বুধবার   ২০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩১   ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

একই দিনে তিন গুণী ব্যক্তির মৃত্যু

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৯ সোমবার

পৃথিবীর মায়া ছেড়ে রোববার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন দেশীয় শোবিজের গুনী তিন ব্যক্তি  (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তারা হলেন- চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহেদ চৌধুরী, প্রবীণ সিনে ফটোগ্রাফার ফিরোজ এম হাসান ও ভাওয়াইয়া শিল্পী ও সাংবাদিক শফিউল আলম রাজার। 

জানা গেছে, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহেদ চৌধুরী রোববার  বিকেল ৫টায় হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আগে থেকেই তার হার্টে সমস্যা ছিলো। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর। তার সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। শাহেদ চৌধুরী বেশকিছু সিনেমা নির্মাণ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘আড়াল’, ‘টেনশন’, ‘হাইরিক্স’, ‘খল নায়িকা’, টাফ অপারেশন’।

এদিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চলচ্চিত্রের প্রবীণ সিনে ফটোগ্রাফার ফিরোজ এম হাসান। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় উত্তরার নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল  ৮২ বছর। প্রবীণ এই সিনে ফটোগ্রাফার বাংলাদেশ সিনে স্থির চিত্রাগ্রাহক সমিতির প্রতিষ্টাতা সম্পাদক ছিলেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর কাটিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার ৮২ তম জন্মদিনে তাকে সংবর্ধনা দেন। প্রবীণ এই সিনে ফটোগ্রাফারের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।   

 

অন্যদিকে ভাওয়াইয়া শিল্পী এবং সাংবাদিক শফিউল আলম রাজা মারা গেছেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর পল্লবী এলাকার নিজের ভাড়া বাসার দরজা ভেঙে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় জন্ম নেয়া শফিউল আলম রাজা শ্রোতা-দর্শকের কাছে ‘ভাওয়াইয়া রাজা’, ‘ভাওয়াইয়া রাজকুমার’ ও ‘ভাওয়াইয়ার ফেরিওয়ালা’ নামে পরিচিত ছিলেন।  রাজা পেশায় একজন সাংবাদিক ছিলেন। দীর্ঘ ২৪ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক যুগান্তরে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে ১৪ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিয়.কম-এর চিফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।

শফিউল আলম রাজার জনপ্রিয় গান গুলোর মধ্যে রয়েছে,. ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে, মনটায় মোর পিঠা খাবার চায়, ও মোর কালা রে কালা, ওরে ভাবের ছলে মজাইলেন মন, ওকি গাড়িয়াল মুই।