মুসলমানদের ওপর নজরদারিতে অ্যাপ, সমালোচনার মুখে মাইক্রোসফট
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

চীনে সংখ্যালঘু উইগর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের কারণে চীনা সরকারের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা বিপুল সংখ্যক উইগর মুসলিমদের বন্দী শিবিরের ভেতরে আটকে রেখেছে। শুধু তাই নয়, মুসলিম সম্প্রদায়টির ওপর নজরদারি চালানো একটি ফেসিয়াল রিকগনিশন অ্যাপও রয়েছে। অ্যাপটির সঙ্গে মাইক্রোসফটের যোগসূত্র নিয়ে প্রযুক্তি বিশ্বে তোলপাড় চলছে। যদিও চীনের এমন কোনো কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বের কথা অস্বীকার করেছে মাইক্রোসফট।
চীনা ফেসিয়াল রিকগনিশন অ্যাপটির নাম সেন্সনেটস। অ্যাপটি ফেসিয়াল রিকগনিশন ও ক্রাউড অ্যানালাইসিস করে থাকে। সোজা ভাষায় বলতে গেলে অ্যাপটি একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠির মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। অ্যাপটি তাদের অংশীদার অংশে মাইক্রোসফটের লগো ব্যবহার করেছে। তাই মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই টেক জায়ান্টের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তোলে। কিন্তু মাইক্রোসফট বলছে, তাদের অনুমতি ছাড়াই অনৈতিকভাবে অংশীদার হিসেবে তাদের লগো ব্যবহার করেছে। মাইক্রোসফট কোম্পানিটিকে তাদের লগো সরাতেও বলেছে।
চীনের এমন অনৈতিক নজরদারির তথ্য ফাঁস করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ভিক্টর জেভার্স। ফেব্রুয়ারিতে সেন্সনেটসের বিশাল পরিমানের তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে জেভার্স তা বিশ্লেষণ করেন। তিনি খুঁজে পান, প্রায় ২৫ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে যেগুলো প্রধানত সংগ্রহ করা হয়েছে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে। এটি চীনের পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রদেশ যেখানে সংখ্যালঘু উইগুর মুসলমান সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশের বসবাস।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, চীনের ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধাচারণের জন্য ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে তথাকথিত ‘রাজনৈতিক শিক্ষা’ ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করার জন্য জাতিসঙ্ঘের কাছে আবেদন করেছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টম্যান্ট এক বিবৃতিতে চীনের এই ধরনের কাজকে ‘মানবতার জন্য মারাত্মক লজ্জা’ বলে অবিহিত করেছে। যদিও চীনের তরফ থেকে এমন অভিযোগকে বার বার অস্বীকার করা হয়েছে।