বৃহস্পতিবার   ০২ জানুয়ারি ২০২৫   পৌষ ১৯ ১৪৩১   ০২ রজব ১৪৪৬

সর্বশেষ:
শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩৮

অনলাইনে পরিযায়ী পাখির মাংসের রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪  

জড়িত ৫০ শিকারি, পুলিশ ও আনসার

 পরিযায়ী পাখি শিকার করে হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে ভিডিও দেওয়া হয়। দরদাম মিললে ক্রেতাকে লাইভে রেখে পাখি জবাইয়ের পর প্যাকেট করা হয়। আশপাশের জেলায় হলে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। আর ঢাকা বা দূরের জেলা হলে মাছের ট্রাকে চলে যায় পাখির মাংস। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখি নিধন করে এমন প্রকাশ্য ব্যবসা এর আগে দেখা যায়নি। যদিও পাখি শিকার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ফেসবুকে ভিডিও
সম্প্রতি টাঙ্গুয়ার হাওরপারের শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন পাখি শিকার করে ভিডিও করে। সে ফেসবুকে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্বর ভিডিও আপলোড করে সবার নজরে আসে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুরাদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হওয়ায় তার বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বলল, ছেলেটা না বুঝে অন্যায় করেছে, আর কোনো দিন এ ধরনের অপরাধ করবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন গত শনিবার বলেন, ‘পাখি শিকারের ভিডিও ফেসবুকে প্রচারকারী ছেলেটি সুনামগঞ্জের কিনা, শনাক্ত হয়নি।’ নাম-ঠিকানা পেলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

শিকার করে এক দল, বেচে আরেক দল
গত শুক্র ও শনিবার টাঙ্গুয়ার হাওরপারের একাধিক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি জানান, সুতা ও বিষ মাখানো শামুক, মাছ এবং টর্চের আলো– এই তিন কৌশলে পাখি শিকার করা হয়। তবে পাখি যারা ধরে, তারা বেচে না। বেচে অন্য দল।

টাঙ্গুয়ারপারের গোলাভারির গণমাধ্যমকর্মী কবির আহমদ জানান, শিকারিরা কোন বিলে কোন দিন যাবে, তা পাইকারদের আগেই জানিয়ে দেয়। তারা সে অনুযায়ী নৌকা নিয়ে চলে আসে। সেখান থেকে প্রকারভেদে প্রতি পাখি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দামে কিনে নেয়। তারা এসব পাখি হাওরের তিনটি পথ মধ্যনগর, তাহিরপুর ও টেকেরঘাট হয়ে নানা কায়দায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠায়।
এলাকাবাসী জানান, তাহিরপুরের দক্ষিণ শ্রীপুরের লামাগাঁও, ধর্মপাশার বংশীকুণ্ডার আমানিপুর ও রণশি, উত্তর বংশীকুণ্ডার আমতরপুর, তাহিরপুর উপজেলার বিনোদপুর ও মেন্দিহাতায় শিকারির সংখ্যা বেশি। এ ছাড়াও সীমান্তের কলাগাঁওয়ে পাখির পাইকার আছে।

জড়িত কারা?
স্থানীয় লোকজন জানান, আশপাশের কিছু জলাশয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে খাস কালেকশন দেওয়ায় ইজারাদারের লোকজন টাঙ্গুয়ায় মাছ ধরে এবং পাখি শিকার করে।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ আহমদ জানান, টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকায় পেশাদার পাখি শিকারি ৪০ থেকে ৫০ জনের বেশি নয়। এদের হাওর পাহারায় থাকা আনসাররা সহযোগিতা করে বলে স্থানীয় লোকজন বলে থাকেন। শিকার করা পাখি জবাই করে মাংস মাছের নৌকা বা ট্রাকে নিরাপদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। সাধারণত ধর্মপাশার জয়শ্রী হয়ে যাওয়া মাছের ট্রাকে বক্সে করে যায় পাখির মাংস। এ ছাড়া হাওরের আশপাশে থাকা ছোট ছোট খাবারের দোকান, পর্যটকবাহী নৌকা, হাউস বোটে হরহামেশা পাখির মাংস বেচা হচ্ছে।
উত্তর শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, ‘হাওর পাহারায় থাকা পুলিশ এবং আনসারারা পাখি শিকারে সহায়তা করে।’

দুই বিক্রেতার সঙ্গে কথোপকথন
শনিবার রাত ৮টার পর দুই পাখি বিক্রেতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। তাদের একজন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপির চাপাইতির আব্দুল (পাখি) হাই। তিনি সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বড় ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়িতে পাখি পৌঁছে দেন। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, ‘আব্দুল হাই ভাই, পাখি পাওয়া যাইবনি?’ আব্দুল হাইয়ের উত্তর, ‘আপনি কে, আপনার গলার স্বর তো চিনলাম না।’ এক বন্ধুর কাছ থেকে নম্বর নেওয়ার কথা জানালে আব্দুল হাইয়ের প্রশ্ন, ‘কে এই বন্ধু, তারে কইওইন, ফোন দিবার লাগি, আমি তো গেলবার একটু আধটু ব্যবসা করছি, এলাকার পোলাপানতে মারলে (মারে) বুঝাল, লেঞ্জা, কালাকুরা (এগুলো পাখির নাম)। পাখি ছোট অইলে ৩ হাজার আর বড় অইলে ৪ হাজার টেকায় হালি দিসি। ইবার তো আমি বেচলাম না। কাইল ফোন দিওইনযে। কিতা করা যায় দেখমুনে।’

আরেক পাখি বিক্রেতা তাহিরপুর সীমান্তের সাগন শ্রীপুর গ্রামের রবিন আহমদ। তিনি আশপাশের উপজেলা ও সুনামগঞ্জ শহরে অনেকের বাড়িতে পাখি পৌঁছে দেন। তাঁর মোবাইল ফোনে অনুরোধ ছিল, ‘ভাই এক হালি পাখি পাওয়া যাইবনি?’ রবিনের উত্তর, ‘আপনি কেডা, কেডায় আপনারে আমার নম্বর দিসে? তারে কইওইন ফোন দেওয়ার লাগি। আমি আগে পাখি বিক্রি করতাম, এখন করি না।’ শেষে আবার কথা ঘুরিয়ে বলেন, ‘আপনে আমরার এলাকার কারে চিনইন?’ পাশের ইউপির সাবেক এক জনপ্রতিনিধির নাম বললে রবিনের উত্তর ছিল, ‘চেয়ারম্যানরে কইওইন আমারে ফোন দিতা।’

আইন আছে, প্রয়োগ নেই
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ৩৮ ধারা অনুযায়ী, পাখি হত্যা করলে এক বছর জেল বা ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দুই বছর জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে। এ ছাড়া পাখির ট্রফি, মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ, দখল, কেনা-বেচা বা পরিবহন করলে ছয় মাসের জেল বা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে এক বছর জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে। তবে এই আইন হাওরে প্রয়োগ হচ্ছে না।

পরিযায়ী পাখি কমছে
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, মধ্যনগর এবং তাহিরপুর উপজেলায়। মিঠা পানির এই হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার এলাকা। এখানে ২০৮ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এই হাওরকে ১৯৯৯ সালে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা ও ২০০০ সালে রামসার সম্মেলনে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০০৩ সাল থেকে ইজারা বিলুপ্ত করে হাওরের নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, বন বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিভিন্ন সময়ের জরিপে টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রাণ-প্রকৃতি কমে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ২০২২ সালে ২৭ হাজার ১৭০টি পাখি গণনা করা হয়। এর আগে ২০২১ সালে পাখির সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ৭৪টি। ২০২০ সালে ৫১ হাজার ৩৬৮টি, ২০১৯ সালে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩০টি, ২০১৮ সালে ৫৯ হাজার ৫৪২টি, ২০১৭ সালে ৯১ হাজার ২৩৬টি, ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫৫৮টি এবং ২০১৫ সালে ৫২ হাজার ২৯৯টি পাখি গণনা করা হয়। এ ছাড়া ২০২৩ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫০ হাজার পাখি মিলেছে।

সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
পাখি গবেষক সীমান্ত দীপু জানান, দেশে সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী হাঁস এখনও টাঙ্গুয়ার হাওরে আসে। দিনে এরা টাঙ্গুয়ায় বিশ্রাম নেয়। রাতে আশপাশের জলাশয়ে খাবার খেতে চলে যায়। খুব কম পাখি টাঙ্গুয়ায় রাতে অবস্থান করে। পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে আশপাশের ছোট ছোট জলাশয়ে পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
তাহিরপুরের ইউএনও আবুল হাসেম বলেন, ‘সংরক্ষিত বা স্পর্শকাতর এলাকার কোনো জলাশয়ে খাস কালেকশন আদায় হচ্ছে না। পাহারায় থাকা আনসার ও পুলিশ সদস্যরা পাখি শিকারে সহযোগিতা করছে কিনা, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। পাখি শিকার করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোডকারী তরুণকে আইনের আওতায় আনার জন্য থানার ওসিকে বলে দেওয়া হয়েছে।’ শিকার বন্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চাইলেন তিনি।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে এখনও সেভাবে পরিযায়ী পাখি আসেনি। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পাহারায় থাকেন। গেল কয়েক দিন হয়, ম্যাজিস্ট্রেট স্বল্পতায় সেখানে পাঠানো যায়নি। আমরা শিগগির সেখানে আগের মতো একজন ম্যাজিস্ট্রেট রাখার ব্যবস্থা করব।’

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর