বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১২৪

আঙুল ভেঙে পা ছোট রাখে চীনা নারীরা যে কারণে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০১৯  

চেহারায় নয়, নারীর সৌন্দর্য পায়ে—এমনটাই মনে করতেন সেকালের চীনারা। তাইতো হাজার বছর ধরে দেশটিতে অদ্ভুত এক রীতি চলছে। বয়স চারের কোটা পেরোনোর আগেই মেয়েদের পায়ের পাতা জোর করে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। এক মাস কিংবা ১ বছর নয়, পুরো ১০ বছর এভাবে বাঁধা থাকতো। যাতে বড় হলে পায়ের দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ ইঞ্চির বেশি না হয়।

ইতিহাস বলছে, প্রাচীন চীনে মেয়েদের সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে স্তনের থেকে বেশি গুরুত্ব পেত ছোট পা। আর অন্তর্বাসের মতোই আকর্ষণীয় ছিল এই পায়ের জন্য তৈরি করা ‘লোটাস শ্যু’-এর। কেন এবং কীভাবে এই যন্ত্রণাদায়ক আমানবিক প্রথা চালু হয়, সে গল্প অনেকেরই অজানা। তাই তা নিয়ে আছে বহু মত। তবে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত মতের কথা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।

চীনের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক কু মো রো তার এক বইতে উল্লেখ করেন, ৯৬০-১২৭৯ সালে সং বংশের রাজত্বকালে রাজ দরবারের নর্তকীদের মধ্যে প্রথম এই প্রথা চালু হয়। সে সময়ে সং রাজবংশের রাজকুমার লি ইউ এক যৌন কর্মীর প্রেমে পড়েন। তার নাম ইয়াও নিয়াং। বলা হয়, ছোট পা হওয়ার জন্য নাচের সময় তাকে দেখতে দুর্দান্ত লাগতো। সেই থেকে সবাই নিজের পা ছোট করতে উঠে পড়ে লাগলো।

অন্তর্বাসের মতোই আকর্ষণীয় ছিল এই জুতাগুলো

অন্তর্বাসের মতোই আকর্ষণীয় ছিল এই জুতাগুলো

তবে তা নিয়ে দ্বিমতেরও শেষ নেই। অনেকের মতে, প্রাচীন চীনা রাজবংশের কোনো এক রানির পা জন্মগত ভাবে ছোট ছিল। নিজেকে যাতে দেখতে বাজে না লাগে তাই তিনি স্বামীকে বললেন- দেশের সব মহিলার পা ছোট করতে হবে। তাই মেয়েদের পা বেঁধে রাখা হোক। এবং সারা দেশে এই প্রথা বাধ্যতামূলক করা হোক।

পায়ের পাতা ছোট করতো যেভাবে

বেশ কষ্টসাধ্য ও নির্মম একটি কাজ এটি। মাত্র ৩-৪ বছর বয়সেই মেয়ের মা-দাদি এই ব্যান্ডেজ করে দেন। এর জন্য প্রথমে উষ্ণ ভেষজ ও পশুর রক্তে পা ভিজিয়ে রাখা হতো। কারণ এসব উপকরণ ব্যবহার করলে পা আরো নরম হয়। এরপর কেটে ফেলা হত নখ। তার পর পায়ের আঙুলগুলো নিচের দিকে বাঁকিয়ে ভেঙে ফেলা হত। হাড় ভাঙার যন্ত্রণায় শিশুরা অনেক আকুতি মিনতি করলেও কোনো ছাড় পাওয়া যেত না। সেই অবস্থাতেই শক্ত ব্যান্ডেজে মুড়ে ফেলা হত পা। ব্যান্ডেজ এমন ভাবে বাঁধা হত, যাতে ভাঙা হাড়া জোড়া লাগার কোনো অবকাশই না থাকে।

এখানেই শেষ নয়। বেশিরভাগ শিশুর পায়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যেত। পচন ধরারও ঘটনা অহরহ শোনা যেত। এতে উদ্বিগ্ন না হয়ে খুশিই হতেন পরিবারের লোকজন। কারণ পায়ে পচন ঝরলে, আঙুল খসে পড়ে যাবে। তাতে পা আরো ছোট লাগবে! অনেকের পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধার সময় কাঁচের টুকরো বা আলপিন লাগানো হতো। এতে খুব দ্রুত পায়ে পঁচন ধরে।

চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো এই প্রথা পালিত হয়

চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো এই প্রথা পালিত হয়

পা ছোট না হলেও ছিল বিপদ! কারণ পায়ের পাতা বড় হলে বিয়ে হতো না। পা ছোট হলেও তো বিপদ থেকে রক্ষা নেই! পায়ের পাতা ছোট হওয়াতে মেয়েরা ঠিকমতো হাঁটতে পারত না। ফলে চাপ পড়ত নিতম্বের পেশির ওপর। এর ফলে যৌনাঙ্গের পেশি শক্ত হতো। ফলে সঙ্গমের সময় বেশি সুখ পেত স্বামী। তবে দিন শেষে কষ্ট নারীকেই করতে হতো।

নির্মম কু-প্রথার শেষ

বিংশ শতকে মুসলিম এবং পশ্চিমী সমাজ সংস্কারকরা এই নির্মম প্রথার বিরোধিতা করতে শুরু করেন। তবে রাজতন্ত্রের অবসানের পর চীনে প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে। ১৯১২ সালে আইন করে পা ছোট করার কুপ্রথা নিষিদ্ধ হয়। লুকিয়ে কেউ পা ছোট করছে কি-না দেখতে সেই সময় সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু কর্মীও নিয়োগ করা হয়। তবে শেষ বললেই কি আর শেষ হয়? এখনো চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোথাও কোথাও এই প্রথা দেখা যায়।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর