ইবাদতের মৌসুমের সুবাস ছড়ায় শবেবরাত
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৯
‘রজব বীজ বোনার মাস শাবান ফসল রক্ষনাবেক্ষণের মাস আর রমজান ফসল ঘরে তোলার মাস’।
নবীজি (সা.) এ কথাটি বলে আমাদের বোঝাতে চেয়েছেন প্রতিটি জিনিসেরই একটি মৌসুম আছে। মৌসুমমতো সে বস্তু হতে উপকৃত না হতে পারলে ফুলের ঘ্রাণ ফলের স্বাদ আস্বাদন করতে না পারলে তার আসল মজা পাওয়া যায় না। শবেবরাত ইবাদত মৌসুমের এমন একটি স্বাদ নেয়ার উৎসব।
সূরা দুখানে আল্লাহ বলেন,ইন্না আনজালনাহু ফি লাইলাতিম মুবারাকা নিশ্চয়ই আমি তা বরকতময় রাতে নাজিল করেছি। ফীহা ইয়ুফরাক্বু কুল্লু আমরিন হাকীম এ রাতে প্রতিটি প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ের ফায়সালা হয়।
এ আয়াতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ বা বরকতময় রাতটির সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না থাকায় সাহাবা আজমাঈন দু’রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অনেক সাহাবী লাইলাতুল বারাতের কথা বলেছেন। তাদের অন্যতম উম্মুল মোমেনীন আয়েশা , শেরেখোদা মাওলা আলী , আবু হুরায়রা , ইকরামাহ , আবু সালাবা আবদুল্লাহ ইবনে উমর রিদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন।
আবার কিছু সাহাবি এর অর্থ শবেকদরকেও বুঝিয়েছেন। তবে পবিত্র কোরআনের এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে কুরতুবী, তাফসিরে কাশশাফ, তাফসিরে কবীর, তাফসিরে রুহুল মা’আনী, তাফসিরে দুররে মানসুর, তাফসিরে রুহুল বয়ান, তাফসিরে বায়দ্বাভী, তাফসিরে বাগ্বাভীসহ প্রায় ৩০টির মতো নামকরা তাফসির গ্রন্থে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ বলতে শবে কদরকে প্রাধান্য দেয়া হলেও শবেবরাতের সম্ভাব্যতাও বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ শবেবরাতকে অস্বীকার করা হয়নি।
ইমাম ইবনে মাজাহ ,ইমাম আবু ঈসা তিরমিজী তাদের কিতাবে শুধু শবেবরাতের হাদিস বর্ণনা করেননি। বরং তাদের কিতাবে আলাদা বাব কায়েম করেছেন। যাতে শবেবরাতের বৈধতা এবং ইবাদতের গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়েছে । তারা নিজেরাও এ রাতে ইবাদত বন্দেগি করেছেন। সিহাহ সিত্তার এসব জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিসগণের বর্ণনা ও আমলকে ছোট করে দেখার সুযোগ আমাদের কারো নেই।
এ বিষয় আমাদের মন কী বলে? নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন জবাব পেয়ে যাবেন। যেমন আর ক’দিন পর দেশে মধু মাস জ্যৈষ্ঠ শুরু হবে। রসালো ফলের মৌ মৌ গন্ধে ভরা বাতাস মনকে নিয়ে যায় শৈশব কৈশোরের নষ্টালজিয়ায়। কখন আসবে আম কাঁঠালের ছুটি, থাকবে না পড়ার চাপ, ইচ্ছে ঘুড়ির নাটাই হাতে ঘুরে বেড়াব সারা গাঁয়। ওই সময় ছুটি না পেলে আম কাঁঠাল লিচুর স্বাদ আস্বাদন না করতে পারলে যেমন মন আনচান করে শাবান রমজানের ইবাদতগুলোতে শরিক না হতে পারলে মন তেমন আনচান করে।
শাবানের চাঁদ ওঠায় শুরু হয়ে গেল ক্ষমা এবং ইবাদতের মৌসুম। শহরে যারা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি তারা সাধারণত টের পাই না কখন কোন মৌসুমের মাস আসে মাস যায়, কোন মাসের চাঁদ উঠে চাঁদ ডুবে। তবে যারা নিত্য কাঁচাবাজারে যান তারা সহজে বুঝতে পারেন কোন মৌসুম চলছে যেমন শবেবরাত –রমজান আসলে ময়দা সুজি বেগুন পেঁয়াজ ডাল সয়াবিনের দাম বেড়ে যায়। জ্যৈষ্ঠ আষাঢ়ে মৌসুমি ফলে হাটবাজার তলিয়ে যায়। ফলের মৌসুমে মৌসুমি ফল না খেলে যেমন জীবনটা খালি খালি লাগে,তেমনি বিশেষ ইবাদতের সময় ইবাদতে শরিক না হলে মনে হয়, কী যেন হারিয়ে ফেলেছি।
আমাদের হৃদয়কে খালি খালি করার জন্য যুগ যুগ ধরে চলে আসা এসব ইবাদতগুলো হতে আমাদের দূরে সরিয়ে রাখার প্রয়াস যারা চালাচ্ছে তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
এ দেশে ইসলাম প্রচারের প্রাণপুরুষ সুফী দরবেশরা ইসলামের নানা প্রকার ইবাদত বন্দেগির সঙ্গে সাধারণ জনগণকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সে জন্য নানা আড়ম্বর কখনো অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করতেন।
মনে পড়ে , সোনারগাঁ পরগণার হাদী চার তরিকার মহান মোর্শেদ মুবাল্লিগে ইসলাম মাও. লালপুরী শাহ’র কথা। তিনি তার দাওয়াতি এলাকা সোনারগাঁ এ জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৯ তারিখে এবং নরসিংদীর মরজাল অঞ্চলে আষাঢ় মাসের ১৫ তারিখে ‘ফল ফাতেহা’র নামে মৌসুমি ফলাহার উৎসবের আয়োজন করতেন। তেমনি রজব মাস আসলেই ভক্ত মুরিদের তাবলিগের কাজে উদ্বুদ্ধ করে কাকরাইল মসজিদে নিয়ে জামাতে শামিল করাতেন। বুদ্ধিমানরা এই মৌসুমগুলোর যথাযথ সদ্ব্যবহার করে জীবন পরিপূর্ণ করে নেয়। হোক সে পাপী তাপী কিংবা খোদাদ্রোহী সব ক্ষেত্রে খোদার নেয়ামত যেমন উদারহস্ত তেমনি সবার জন্য তার ক্ষমা উদারহস্ত তিনি শুধু বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের ‘রব’ নন। তিনি রাব্বুল আলামিন।
আল্লাহ তাআলা বিশেষ বিশেষ মাস দিবস রজনীতে সাধারণ ক্ষমা ও দয়ার হাত প্রসারিত করে তাঁর বান্দাদের ডাকতে থাকেন ‘হাল মিম মোস্তাগফিরিন হাল মিম মোস্তারজিকিন……..হা কাজা হা কাজা’আছো কি কেউ ক্ষমা প্রার্থী আছো কি কেউ রিজিক প্রার্থী...ইত্যাদি ইত্যাদি ।
তো বুদ্ধিমানরা সেই ক্ষমা এবং দয়ার সু্যোগ নিয়ে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে ফেলে।হিজড়া সমাজের রন্টির রমজান শরিফে ইবাদতের আগ্রহের কথা বলেছিলাম পাঠকদের। আজ বলব কান্দুপট্টির মনিষা রুমাদের কথা। তারা সেখানে এই সব বিশেষ দিবস রজনীতে কী সব কর্মসূচি পালন করে। কবি আল মাহমুদের ‘ডাহুক’ উপন্যাসে কান্দুপট্টি বাসিন্দাদের ধর্ম বিশ্বাসের গভীরতার কথা প্রসংগত উল্লেখ করেছেন।কান্দুপট্টির বাসিন্দারা নিজ পেশার উন্নতি এবং অসুখ বিসুখ থেকে মুক্তিলাভের জন্য পুরানো ঢাকার রায়সাহ বাজার মসজিদের ইমাম সাহেবের পানিপড়া দোয়া তাবিজ নেয়ার জন্য আসরের নামাজের পরে মসজিদসংলগ্ন শওকত শালকরের দোকানের পাশ ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকত। আর ইমাম সাহেবও হাসি মুখে তাদের নালিশ শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দিয়ে দিতেন। রজব মাসের ‘ছেটা শরিফ’ বা গরিবে নেওয়াজ খাজা বাবা আজমিরের ওরস শরিফে তাদের পেশা বন্ধ রেখে জাঁকজমকের সঙ্গে খাজা বাবার ওরসের আয়োজন ঢাকাবাসীর নজর কাড়ত।
শবেবরাতে কান্দুপট্টি বাসিন্দারা ওই সময় কী কর্মসূচি পালন করতো তার চাক্ষুষ সাক্ষী আমাদের এক শীর্ষস্থানীয় সংসারবিহীন মেধাবী সাংবাদিক যিনি ওই আমলে একটি নামকরা কাগজে কাজ করতেন। সংসার না থাকায় মাঝেমধ্যে ভালোমন্দ খাওয়া এবং জৈবিক চাহিদা মেটাতে নিজ হাতে পছন্দের বাজার সওদা করে কান্দুপট্টির নির্দিষ্ট খুপড়িতে যেতেন । এ কাজে যাকে তাকে বেছে নিতেন না। তার গমনস্থল ছিল তৎকালীন অভিজাত নিষিদ্ধপল্লী নারায়ণগঞ্জের টানবাজার । ছুটির রাতগুলোতে ২ কেজি পোলাও চাল ১ পোয়া গাওয়া ঘি ১টি মুরগি কিনে ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে রেলে চড়ে হাজির হতেন সেখানে। যেটা তার একান্ত বন্ধুজন ছাড়া কেউ জানত না। সম্ভবত এ জন্যই লালন শাহ বলেছেন ‘গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়ঃ তাতে ধর্মের কি আসে যায়’।
অবশ্যই এখানে ভাবুকদের জন্য ভাবনা আছে নফসের ফেরেবে পড়ে গোপনে কোনো পাপ করে নিরবে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ মাফ করে দেবেন বলে কোরআনে ইংগিত আছে। ‘ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুত্তাওয়াবীন’আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন। আর আমরা জানি ভালোবাসার পাত্রের কোনো দোষ থাকে না। তার দোষগুলো গুণে পরিণত হয়ে যায়। বিশেষ দিবস রজনীতে চাওয়ার মতো চাইতে জানলে অবশ্যই আল্লাহ পাপী তাপীর পাপ মাফ করে নেকে পরিণত করে দেন কালামে পাকে আছে ‘ওয়াইউ বাদ্দিলুসসায়্যিয়াতি বিল হাসানাত’ এবং আল্লাহ মন্দগুলোকে সুন্দরে পরিণত করে দেন।
আমরা লক্ষ্য করেছি এ জন্য আমাদের সুফি দরবেশরা প্রেমময় কাসিদা শুনিয়ে আমাদের দরুদ শরিফ পাঠে উদ্বুদ্ধ করতেন... যতই গুণাহ করছি মাবুদ গোপনেঃ মাফ করিয়া দাওগো মাবুদ নিজ গুনে’ কারণ সুফিরা মনে করেন নবী (সা.) গুনাহ মাফের অছিলা আর আল্লাহর গুণবাচক নাম ‘সাত্তার’ এবং গাফফার বা দোষ ত্রুটি গোপনকারী আর গুনাহ মাফকারী। আল্লাহ মানুষের দোষ ত্রুটি মাফ করার জন্য সপ্তাহ মাস ও বছরের বিশেষ দিবস রজনী তার বান্দাদের উপহার দিয়েছেন লাইলাতুল বরাত তাদের মধ্য অন্যতম।
মা আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিস হতে জানা যায় এই রাতে আল্লাহ বনি মুদার ও বনি কালব গোত্রের অধিকারে যতো মেষ ছাগলাদি আছে তাদের পশম তুল্য পাপীদের গুনাহ মাফ করে দেন বলে নবী (সা.) সুসংবাদ দিয়েছেন।
তো সে সাংবাদিক বন্ধু একদিন শবেবরাতের ছুটিতে ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে ফিরতি ট্রেনে বাজার সদাইসহ ঢাকা ফেরত এলে বন্ধুরা বলে কিরে তোর নাগরী কি আবার নতুন কোন বাবু ধরেছে নাকি? বাজারসহ ফেরত এলি যে? তিনি বলেন না তা নয় আজ তো শবেবরাত আজ সেখানে সবাই ইবাদত বন্দেগি করে রাত কাটাবে , আজ কোনো কাস্টমার সেখানে যেতে পারবে না। এমন কি তাদের নির্দিষ্ট বাবুদের সেখানে গমন এবং তাদের উপহার গ্রহণও নিষেধ। আজ তারা নিজেদের পরিশ্রমের পয়সা দিয়ে হালুয়া রুটি তৈরি করে খাবে আর গরিবদের মাঝে বিতরণ করে সারা রাত এবাদত বন্দেগি করে কাটাবে। তাদের বিশ্বাস পাপী হলেও তারা আল্লাহ’র বান্দা নবীর উম্মত। বনি ইসরাইলের পাপী মহিলা যদি তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়ে ক্ষমা পেতে পারে আমরা তো আল্লাহর প্রিয় নবীর উম্মত আমরা কেন ক্ষমা পাব না? এই ছিল দেশের তৎকালীন নিষিদ্ধ পল্লীর পরিবেশ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ।
কিন্তু হাল আমলে রাজনৈতিক কারণে ধর্মীয় উন্মাদনা সামনে রেখে এসব পল্লী উচ্ছেদ করে সারা দেশময় তাদের ছড়িয়ে দিয়ে পুরা সমাজকে পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত করেছে, ফলে সমাজে নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। তারা যদি কোনো নির্দিষ্ট স্থানে থাকত তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও নৈতিকতার প্রশিক্ষণ সহজ হতো। গোনাহ এবং অশ্লীল কাজ ছড়িয়ে দেয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। যতটা সম্ভব একে নিয়ন্ত্রিত রেখে সমাজকে সুন্দর করার কথা ইসলামে বলা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন ‘ইন্নাল্লাজিনা ইউহিব্বুনা আন তাশিয়াল ফাহিশাতু ফিল্লাজিনা আমানু লাহুম আজাবুন আলিমুন ফিদ্দুনিয়া ওয়া ফিল আখিরাতে’ নিশ্চয় যারা ঈমানদার বা শান্তিপ্রিয় লোকদের মধ্যে ফাহেশা ও অশ্লীল কাজের প্রসারতা পছন্দ করে তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে পীড়াদায়ক শাস্তি। এই পীড়াদায়ক শাস্তির মধ্যে অন্যতম হলো যৌন রোগ যা অনেক ক্ষেত্রেই লোকলজ্জার ভয়ে বলতে না পেরে ভুক্তভোগীকে কষ্টের জীবনযাপন করতে হয়।
এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? আল্লাহ এমন কোনো রোগ বা সমস্যা দেননি যার ওষুধ বা সমাধান নাই। যারা নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন তারা অনেকে এসব রোগবালাই হতে মুক্ত থাকেন। আবার অনেক রোগ আছে যা মৌসুমি বিভিন্ন ফল ফলাদির পরিমিত আহারে সেরে যায় কিংবা শরীরে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। আবার অনেক রোগ আছে যা নিয়মিত ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর দুয়ারে ধরনা দিয়ে কান্নাকাটি করলে মুক্তিলাভ হয়। মানুষ যেন আল্লাহর দরবারে কোনো উপলক্ষে বিশেষভাবে কান্নাকাটি করে ক্ষমা পেতে পারে এ জন্য আল্লাহ প্রায় সব ধর্মের মধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠান দিবস রজনীর আয়োজন করে দিয়েছেন যাতে তাঁর বান্দারা ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে চোখের পানি ঝরিয়ে আত্মিক রোগ দূর করতে পারে। তেমনি মৌসুমি নানা ফল ফলাদির দিয়ে আল্লাহ আমাদের প্রতি এহসান করেছেন যাতে তাঁর বান্দারা তা খেয়ে সুস্থ সবল থেকে তাঁর গুণগান করতে পারেন। আবার বছরে নানা ইবাদতের মৌসুম দিয়ে আমাদের মতো পাপী তাপীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন যাতে তার ডাকে সাড়া দিয়ে পাপমুক্ত হয়ে জান্নাতে যেতে পারি।
এ কারণেই নবীজি (সা.) রজবের চাঁদ উদিত হলেই দোয়া করতেন ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান’ হে আল্লাহ রজব শাবানে বরকত নাজিল কর আর আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও।
আমরা জানি রমজান হলো দয়া, ক্ষমা ও মুক্তির মাস। আসুন শবেবরাতে রাতভর রোনাজারি জিকির ইস্তেগফার তিলাওয়াত নামাজে ব্যস্ত থেকে পরদিন রোজা রাখি। নবীজি (সা.) ফরমান ক্বুমু লাইলাহা সুমু ইয়াওমাহা রাতে ক্বিয়ামে থাকো আর দিনে সিয়ামে থাক। আল্লাহ শবেবরাত ও রমজানের অছিলায় আমাদেরকে মাফ করে দিন।
- বিশ্বে যেভাবে ‘নির্যাতিত’ হচ্ছেন পুরুষরা
- দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ
- পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি
- আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য?
- কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার
- সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
- ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে রাশিয়া
- পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে
- ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা
- রমজানে কঠিন সংকটের শঙ্কা
- জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেললো ল্যাবরেটরি স্কুল, সোশ্যাল
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনে নতুন কমিটি ঘোষণা
- নিউইয়র্কে বাঙালি সংস্কৃতির দেশি নাইট
- ইমিগ্রেশন নিয়ে আতংকিত না হবার পরামর্শ মঈন চৌধুরীর
- ঢাকা ক্লাব অব আমেরিকার অভিষেক আজ
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- ‘দরদ’ নিউইয়র্কে প্রশংসা কুড়িয়েছে
- ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরোয়ানা
- সাইথ এশিয়ান আমেরিকান রিয়েলটর এসোসিয়েশন’র কমিটি গঠন
- মাহমুদ রেজা চৌধুরীর পুত্র তানজিরের ইন্তেকাল
- বাংলাদেশি দুই ভাইয়ের ১০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি
- আগে আওয়ামী লীগের বিচার পরে নির্বাচন
- হাসিনার জোট নেতারা এখন কোথায়?
- অ্যাম্বাসেডর সাদিয়ার জীবন যেমন
- বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- অবৈধদের বিতারনে ট্রাম্পের পরিকল্পনা
- সোসাইটির নতুন নেতৃত্বকে সংবর্ধনা কুমিল্লা সমিতির
- সেনাকুঞ্জে আলোচনার কেন্দ্রে খালেদা জিয়া
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- যে শর্তে ইসরাইলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ
- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার পরামর্শক পর্ষদ
- আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে হিজবুল্লাহর নাম বাদ
- শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত করছে নিউইয়র্ক
- যে কারণে নিউ ইয়র্কে চাকরি ছেড়েছেন ৫ লাখ মানুষ
- আজকের সংখ্যা আজকাল ৮৩৬
- কাল পবিত্র হজ
ঈদ রোববার - নিউইয়র্কে বাংলাদেশি খুনের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয়ে পরিবার
- যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে ‘বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’
- নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে: ডিপজল
- পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
- মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা
- নিউইয়র্ক মাতালেন মমতাজ
- পর্তুগালে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
- হজে যেতে পারেননি বহু প্রবাসী
- আজকের আজকাল সংখ্যা ৮৩১
- বিয়ে হলেও বিয়ের প্রিমিয়ার হবে না
- আনন্দ-বেদনায় কানাডা প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের মালামাল আটকে রেখেছে সাদবিরোধীরা
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু