রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
২৭৯

ইমামতির মর্যাদা ও দায়িত্ব

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯  

ইমামতি সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। রাসূল (সা.) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত। উভয় জগতে সফলতা ও কামিয়াবির মাধ্যমও হতে পারে এই ইমামতি। 

একজন ইমাম হতে পারেন মানবতার পথপ্রদর্শক ও সরল পথের দিশারি। ইমামের সংশ্রবে ধুধু মরু হয়ে ওঠতে পারে সবুজ-শ্যামল। মৃত কলবও ফিরে পেতে পারে তার হারানো জীবন। আমরা সমাজের দিকে তাকালে দেখতে পাই, যে এলাকার ইমাম সাহেব সচেতন সেখানকার ধর্মীয়, সামাজিক পরিবেশ থাকে অন্য রকম। পরস্পর মিল-মহব্বত, শান্তি ও সৌহার্দ্য বিরাজ করে ওই সমাজে। 

দ্বীনদারি মানুষকে মানবতাবাদী বানায়। এ জন্য ইমাম বোধসম্পন্ন হলে, তার সংশ্রবে থেকে মুসল্লিরা ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতার গুণ শিখে। জেনে রাখা ভালো যে, সৃষ্টি ও স্রষ্টার মাঝে বন্ধন তৈরী করার নাম হচ্ছে ইমামতি। তাই একজন ইমামই পারেন, দিকভ্রান্ত মানুষকে সরল পথে পরিচালিত করতে। আল্লাহর সত্তার সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে। ইমামতির পদ উপকারি ও ফায়দাজনক। তবে ঝুঁকিপূর্ণও বটে। ইমামতির কারণে, প্রাসঙ্গিকভাবেও অনেক দায়িত্ব একজন ইমামের ওপর এসে যায়। সেগুলোও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও অসাধারন। তবে যে কেউ চাইলেই সে দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে আঞ্জাম দিতে পারবে না। বরং এর জন্য প্রয়োজন যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া। ইমামতির সূচনা করেছেন নবী করীম (সা.)। 

 

এখন যারা ইমাম, তারা নবী করিম (সা.) এর ইমামতির উত্তরাধিকারী। তাই উত্তম চরিত্রের দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও একজন ইমামের কাজ। যেমন ইমাম হিসেবে নবী করিম (সা.) স্থাপন করে গিয়েছিলেন। আদর্শিক বিচ্যুতি ইমামতির জন্য অযোগ্যের বড় প্রমাণ। অযোগ্য ও চরিত্র-আদর্শ এই দুই গুণ শূন্য ইমাম কখনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কেননা যোগ্যতা সম্পন্ন  না হলে, মানুষের নামাজ নষ্ট করবে, বিভিন্ন বিষয়ে ভুল সমাধান দিবে। ইমাম চরিত্রবান ও আদর্শবান না হলে মানুষ কষ্ট পাবে। মানুষ, ইমামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করার সুযোগ পেয়ে নিজেদের ইমান-আমলকেও খোয়াবে। 

একজন নিষ্ঠাবান ইমাম শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়ে নিজেকে দায়িত্ব মুক্ত ভাববে তা কখনো কাম্য নয়। মানুষ, মনুষ্যত্ব ও সমাজ নিয়েও একজন নবীর উত্তরাধিকারী ইমামকে ভাবতে হবে। মানুষের ইসলাহ ও সংশোধনের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে। প্রথম নামাজের কথাই ধরা যাক। যদি মুসল্লিদের নামাজ সুন্নত মুতাবেক না হয় তাহলে কিছু সময় বের করে সুন্নত মুতাবেক নামাজ শিখাতে হবে। মুসল্লিদের ফরজ পরিমান কেরাত শুদ্ধ না থাকলে এ ব্যাপারে মেহনত করতে হবে। যারা কোরআন তেলাওয়াত শিখেনি, তাদের কোরআন শিখার ব্যবস্থা করতে হবে। নামাজের প্রতি অলস ও উদাসীনকে সচেতন করতে হবে; নামাজের গুরুত্ব বুঝাতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের পাবন্দ বানাতে হবে। 

সমাজের কেউ শরীয়ত বিরোধী কাজ করলে আস্তে আস্তে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করাও একজন ইমামের দায়িত্ব। ইমামগণ, মুসল্লিদের মাঝে দ্বীনি বুঝ জাগ্রত করে, আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক তৈরি করে দিতে পারলে ইনশাল্লাহ অচিরেই এমন এক সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠবে, যেখানকার প্রতিটি নাগরিক হবে দ্বীনের সত্য ও একনিষ্ঠ সৈনিক। যারা হবে ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুনের সংরক্ষক। অনাচার ও পাপাচারের বিরুদ্ধে হবে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।

মসজিদসমুহে সাধারণত সকালের মক্তব চালু থাকে। বাচ্চাদের নুরানী কায়দা থেকে কোরআন শরিফ, মাসনুন দোয়া, দ্বীনিনের প্রয়োজনীয় ও মৌলিক বিষয় সেখানে শিখানো হয়। ওই বাচ্চারা আমাদের কাছে আমানত। তারা হচ্ছে এ জাতির ভবিষ্যত। এজন্যে ইমামগণের কর্তব্য হচ্ছে, জাতির এই ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। দ্বীনি শিক্ষায় তাদেরকে শিক্ষিত করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা। পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি থেকে তাদেরকে দূরে রাখা। রাঙ্গিয়ে তোলা ওদের জীবন ইসলামের রঙ্গে। মনে রাখতে হবে, সীরাত হচ্ছে জাতির সফলতার আসল হাতিয়ার। তাই ইমামের দায়িত্ব এটাও যে, বাচ্চাদের চরিত্রকে সীরাতে নববীর খুশবু দিয়ে সুবাশিত করা। রাসূলের (সা.) চরিত্রে তাদেরকে সুশোভিত করা। 

বাচ্চাদেরকে আত্বমর্যাদাবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলাও ইমামের অন্যতম দায়িত্ব। কোরআন শিখা, কোরআনের হিফজ করার আগ্রহ তাদের অন্তরে জাগ্রত করতে হবে। মসজিদের ইমামগণ, মকতবের শিক্ষার্থীদের ওপর মেহনত করলে প্রথমত ছাত্ররা মাদরাসা উপযুক্ত বনে যাবে এবং ছাত্ররা দ্বীনি মেজাজের অধিকারী হবে। দ্বিতীয়ত ওই ছাত্ররা যদি মাদরাসায় পূর্ণ আগ্রহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে শিক্ষা চালু রাখে এবং উপযুক্ত ও অভিজ্ঞ আলেমে দ্বীন হয়ে বের হয়। এরপর তারা নিজেদের এলাকায় দ্বীনের দাওয়াত, ইসলাম প্রচার, অজ্ঞ ও মূর্খ সমাজে ইলম ও আমলের আলো ছড়ায়। তাহলে ইমামের ওই চেষ্টা সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভূক্ত হবে। অনন্ত কাল পর্যন্ত সে এর সওয়াব পেতে থাকবে।
 
ইমাম হবেন ধৈর্যশীল, উদার ও আত্মমর্যাদবোধ সম্পন্ন। কেননা, মুসল্লিদের কেউ কেউ ঝগড়া পছন্দ হয়ে থাকে। ওরা অনর্থক ইমামকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানায়। সর্বদা ইমাম, মুয়াজ্জিনের দোষ ত্রুটি তালাশ করে। এখন ইমাম সাহেবও যদি তাদের মত হন এবং রেগে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন তাহলে অবস্থা জটিল আকার ধারণ করবে। এলাকায় দলাদলি হবে। মুসলমানদের ঐক্য ও সংহতি নষ্ট হবে। এজন্যে ইমামের করণীয় হচ্ছে, সর্ববস্থায় ধৈর্যশীলের পরিচয় দেয়া এবং বিরোধীদের প্রতি উদারতা দেখানো। তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই সমালোচকরা ইমামের দোষ বর্ণনা থেকে ফিরে আসবে। মানুষের কাছে ইমাম সাহেবের মান-মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে।
 
ইমাম হবেন, সরল-সহজ ও ভদ্র স্বভাবের অধিকারী। তবে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়াও জরুরি। যার মাঝে উক্ত গুণগুলো বিদ্যমান থাকবে এলাকায় তার দ্বারা পরিবর্তনের হাওয়া বয়ে যায়। সাধারণ মানুষ তার কথাকে মন থেকে গ্রহণ করে। এর বিপরীত হলে ফলও উল্টো হতে বাধ্য। ইমামের  একটি দুর্বলতা হচ্ছে, নামাজের পূর্বে এবং পরের সুন্নতে মুয়াক্কাদার ব্যাপারে অলসতা ও অমনযোগীতা। স্পষ্ট যে, যখন ইমাম সুন্নতে মুয়াক্কাদার ব্যাপারে অলসতা করবে তখন সাধারণ লোকেরা তো ফরজের মধ্যেও অলসতা করবে। এজন্য আবশ্যক হলো, ইমাম সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং সুন্নতে গাইরে মুয়াক্কাদা আদায়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিবে। কিছু মসজিদে এটা দেখা যায় যে, ইমাম সাহেব ফরজ নামাজে লম্বা লম্বা কেরাত পড়ে থাকেন। এতে অনেক সময় মানুষ বিরক্ত হন, কষ্টে পড়েন। এ জন্য ফরজ নামাজে সংক্ষিপ্ত কেরাত পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) একবার এশার নামাজে দীর্ঘ কেরাত পড়েন। একজন অভিযোগ করলে, হুজুর (সা.) মুয়াজের প্রতি অনেক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এবং হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.)-কে নামাজ হালকা এবং সংক্ষিপ্ত করে পড়াতে বলেন। কেননা মুসল্লিদের মাঝে কিছু এমন লোক থাকেন যারা দূর্বল ও অতিশয় বৃদ্ধ। যাদের প্রতি খেয়াল রাখাও ইমামের জন্য জরুরি।

ইমাম সাহেবকে সকলের আস্থাভাজন হওয়া বাঞ্জনীয়। যেন সকলে নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, জাগতিক ও ধর্মীয় সকল বিষয়ে মতের আদান-প্রদান করতে পারেন। লেনদেন, বিবাহ-শাদী ও অন্যান্য কার্যক্রমে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন। ইমাম যদি আস্থাশীল না হন তাহলে একদিকে ইমামের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে না এবং প্রকৃত ইমামতি যার মাঝে সমাজ ও লোকদের সংশোধনও আছে তা কখনো হবে না। ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন প্রসঙ্গ: বর্তমান সময়ে বাজারের অবস্থা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। তাছাড়া, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থাও অনেক ব্যয় বহুল। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা ব্যক্তিগত সভা-সমাবেশ, বিবাহ শাদি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে বেহিসাব খরচ করি। মসজিদে দামি দামি ট্রাইলস, দৃষ্টি নন্দন গম্বুজ, উঁচু উঁচু মিনার ইত্যাদি কাজের জন্য মোটা অংকের দান এবং বদান্যতার প্রকাশ ঘটাই। কিন্তু মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেলায় দেখা যায় উল্টোটা।

দুনিয়াকে সাজানো হয়েছে আশা-আকাঙ্খা দ্বারা। দুনিয়ার সম্পদ, মণি-মুক্তা মানুষদিগকে সব সময় নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে থাকে। দুনিয়ার চাকচিক্যতা এবং মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রত্যেক মানুষকে দুনিয়ার দিকে দাওয়াত দেয়। দুনিয়ার ভোগ বিলাস ও সুখ শান্তির সামনে বড় বড় হিম্মতওয়ালারাও দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে হ্যাঁ, খোদায়ী নুসরত যেই ব্যক্তির শামিলে হাল হয় তার কথা ভিন্ন। এ রকম নাজুক পরিস্থিতে কোনো ব্যক্তি যদি যুহদ ও অল্পেতুষ্টিকে নিজের বৈশিষ্ট্য বানিয়ে নিতে পারে এবং বস্তুবাদের কাটাযুক্ত আঁচল থেকে বাচার চেষ্টা করে, তাহলে তো এই আশা করা যায় যে, তার ঘরের লোকেরাও এই রঙ্গে রঙ্গিন হবে।

এই জন্য মুসল্লি হজরতদের জিম্মাদারী হলো, মসজিদের ইমামগণের জীবন যাপনের স্তরকে উপরে উঠাবে। তারা তাদের এই পরিমান আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে, যাতে করে তাদের পরিবারের প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারে এবং সে একাগ্রতার সঙ্গে দ্বীনের খেদমত আঞ্জাম দিতে পারে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘(দান-খয়রাত) সেই গরীবদের জন্য, যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে আবদ্ধ হয়ে থাকে যে, তারা (জীবিকা নির্বাহের জন্য) জমীনে চলাফেরা করতে পারে না। অনবগত লোকেরা সওয়াল না করার কারণে, তাদের ধনী মনে করে। ( হে নবী!) আপনি তাদের চেহারা-লক্ষণ দেখে চিনতে পারবেন।’ এই আয়াতের উদ্দেশ্য ওই সমস্ত লোক, যারা দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দেয়ার মাঝে এমন ভাবে লিপ্ত যে,জীবিকা উপার্জনের জন্য সময় বের করতে পারে না। তাদের প্রতি খেয়াল করা এবং তাদের জীবনের স্তরকে উঁচু করা উম্মতে মুসলিমার জিম্মাদারি।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর