কেন মাথাচাড়া দিল কেএনএফ?
মাসুদ করিম, ঢাকা অফিস
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৪
ইসরাইল স্টাইলের রাষ্ট্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা
বাংলাদেশের পাহাড়ে হঠাৎ অশান্তি
পাহাড়ে সম্প্রতি বেড়ে গেছে হত্যা, গুম, অপহরণ, গোলাগুলি। সংঘাতময় পরিস্থিতির চূড়ান্ত রূপ দেখা গেলো ঈদের আগে কয়েকটি ব্যাংক লুটের ঘটনার মাধ্যমে। পাহাড়ের বড় কোনও গ্রুপ নয়। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের ছোট একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হঠাৎ এই ঘটনা ঘটালো। কেএনএফের তৎপরতার কথা গত কয়েক বছর যাবত শোনা গেলেও তারা এত বড় দুঃসাহস দেখাবে সেটা ছিল কল্পনারও বাইরে। এ ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায় নড়েচড়ে উঠেছে। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধানের মতো নিরাপত্তার শীর্ষ কর্তারা কেএনএফ অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকা সফর করেছেন। পাহাড় ফের অশান্ত হয়ে উঠলো কিনা এই চিন্তায় সবাই উদ্বিগ্ন।
কেএনএফ হঠাৎ কেন মাথাচাড়া দিলো তা নিয়ে চলছে এখন নানামুখী বিশ্লেষণ। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ‘ইনসার্জেন্ট’ কবলিত অঞ্চলে ‘ইসরাইল’ স্টাইলের একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার গল্প অনেক দিন ধরে মানুষের মুখে মুখে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সেই গল্পে ঘি ঢেলে দিলেন। তিনি বলেন, পাহাড় উত্তপ্ত হওয়ার পেছনে বিদেশি হাত আছে। ভারতের মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও মিজোরাম নিয়ে ইস্টার্ন স্টেট গঠনের পরিকল্পনা দীর্ঘ দিনের। এদের নিয়ে ভারত খুব বিরক্ত। পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে এই পরিকল্পনার যুগসূত্র আছে বলে তিনি মনে করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতরের লক্ষ্যে পুলিশ, র্যাব অভিযান শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী এই অভিযানে যোগ দেবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সেনাপ্রধান। একই দিনে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি সই হয়। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের কারণে শান্তি আলোচনা সফলতার মুখ দেখে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) বিচ্ছিন্নতাবাদিদের পক্ষে চুক্তিতে সই করে। তারপর জেএসএস নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরপে সন্তু লারমার নেতৃত্বে কতিপয় জেএসএস সদস্য অস্ত্র জমা দিলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হয়। জেএসএস গ্রুপটিতে পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ চাকমা, মারমা এবং ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে। শান্তিচুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তিনি এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের এক-দশমাংস অঞ্চল ‘বিক্রি’ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসায় শান্তিচুক্তির পক্ষে জনমত সৃষ্টি হয়।
কারো কারো মতে, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পসমূহ সরিয়ে ফেলার কারণে অপরাধীরা তলে তলে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনা ক্যাম্প পুনরায় স্থাপন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, অশান্তি সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীকে সমূলে নির্মূল করা প্রয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির বীজ রোপিত হয়েছিল কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে। পাকিস্তান আমলে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অনেক বাড়ি তলিয়ে যায়। তারপর জিয়াউর রহমানের আমলে অনেক বাঙালিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়। তারপর থেকে শুরু হয় পাহাড়ি-বাঙালী বিরোধ। এই ধরনের ছোটখাট ক্ষোভ-অসন্তোষ বড় হয়ে দেখা দিলে সংঘাত শুরু হয়। দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরিসমাপ্তি ঘটে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে। তাই কারো কারো মতে, অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি শান্তি আলোচনার পথ খোলা রাখা প্রয়োজন। কেএনএফের সঙ্গে এক ধরনের শান্তি আলোচনা চলছিল। তার মধ্যে ব্যাংক লুট ও ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফ। তাই অনেকে আবার মনে করেন, শান্তি আলোচনা বন্ধ করে এদের একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত।
বান্দরবানে পাহাড়ের সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় মানুষ বাস করেন। সেখানে প্রায় ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসবাস করেন। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির বসবাস করার কারণে বান্দরবান পর্যটনের ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছিল। নাথান বম নামের এক তরুণ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে পাস করে নিজ এলাকা বান্দরবানে একটি সামাজিক গ্রুপ গঠন করেন। তাদের মূল দাবি ছিলÑচাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা বাদে অন্য জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়াই, সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। হঠাৎ বান্দরবানের রুমা, থানচি, আলী কদম প্রভৃতি কয়েকটি এলাকায় কুকিদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি জানান। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা সশস্ত্র হামলা পরিচালনা শুরু করেন।
কেউ কেউ মনে করেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় তরুণ সমাজে ক্ষোভ আছে। এই ক্ষোভকে পুঁজি করে নাথান বম তরুণ সমাজকে সংগঠিত করেন। যতদিন পর্যন্ত বাইরের আশ্রয়-প্রশ্রয় করেনি তত দিন সবাই শান্তিপূর্ণ সংগঠন করেছে। ইদানিং তারা বাংলাদেশের বাইরে সামরিক প্রশিক্ষণের সুযোগ গ্রহণ করছে। তারা সামরিক পোশাক পরে ফেসবুকের সামনে আসছে।
কেএনএফের এমন দুঃসাহস দেখে কেউ কেউ এই ঘটনা সঙ্গে বড় শক্তিগুলোর সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেন। এই অঞ্চলে চীনের আধিপত্যকে মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধীদের সহায়তার লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসে ‘বার্মা অ্যক্ট’ পাস হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইও চলমান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষের ইন্ধনে কেএনএফ এমন হামলা শুরু করেছে কিনা সেটা এখন বিবেচ্য বিষয়।
- সংকটে ৪৬০ থানা
- মোশাররফের সঙ্গে সম্পর্কসহ ৪ গুজবের জবাব অভিনেত্রীর
- ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন প্রোটিয়া ক্রিকেটার
- স্কুলছাত্রকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে
- ভারতীয় স্ক্রিপ্ট রূপায়িত করার কাজে নেমেছে কিছু মানুষ: আসিফ নজরুল
- বিদ্রোহীদের দখলে সিরিয়ার আলেপ্পো
- দুবলারচরে ‘সাহেবদের’ রাজত্ব
- যে কারণে স্বামীসহ সুবর্ণা মুস্তাফাকে আটকে দেওয়া হলো বিমানবন্দরে
- ট্রাম্পের শপথের আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরার নির্দেশ
- আটকের পর রাতেই পরিবারের জিম্মায় সাংবাদিক মুন্নী সাহা
- কুইন্সে জাকজমকপূর্ন থ্যাংকস গিভিং পার্টি ও সংবর্ধণা
- বাংলাদেশ সোসাইটির অভিষেক ১৬ ডিসেম্বর
- থ্যাঙ্কস গিভিং ডে প্যারেডে ফিলিন্তিন বিক্ষোভকারীরা গ্রেফতার
- বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রকে মমতা ব্যানার্জীর সমর্থন
- ঢাকায় চালু হলো বাংলা ট্রাভেলসের নতুন শাখা
- মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোনকল
- গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারকে এবিসিসিআই’র কোটি টাকা অনুদান
- নিউইয়র্কের স্কুল কলেজে নামাজ পড়া যাবে
- এমপি হবার দৌড়ে বিএনপি নেতারা
- চিন্ময় দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবি শেখ হাসিনার
- জিয়াকে ‘ডাকাত’ বলায় বিচারপতিকে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
- চিন্ময় প্রভুকে ইসকন আগেই বহিষ্কার করেছে
- হুমকির মুখে সিডিপিএপি
- ইসকন ইস্যুতে ঢাকা-দিল্লি টানাপোড়েন
- জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপি জামায়াত ঐকমত্য
- ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশ ইস্যুতে তোলপাড়
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- আজকাল ৮৪৬ সংখ্যা
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধে বিল পাস
- বায়ুদূষণ এবারও মাত্রাছাড়া, সব সংস্থা হাত গুটিয়ে
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- যে শর্তে ইসরাইলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ
- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার পরামর্শক পর্ষদ
- আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে হিজবুল্লাহর নাম বাদ
- শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত করছে নিউইয়র্ক
- যে কারণে নিউ ইয়র্কে চাকরি ছেড়েছেন ৫ লাখ মানুষ
- আজকের সংখ্যা আজকাল ৮৩৬
- কাল পবিত্র হজ
ঈদ রোববার - রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে: ডিপজল
- পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
- মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা
- নিউইয়র্ক মাতালেন মমতাজ
- পর্তুগালে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
- হজে যেতে পারেননি বহু প্রবাসী
- আজকের আজকাল সংখ্যা ৮৩১
- বিয়ে হলেও বিয়ের প্রিমিয়ার হবে না
- আনন্দ-বেদনায় কানাডা প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারে সফরসঙ্গী রিয়াজ-ফেরদৌস