রোববার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১৩৯

কেন মাথাচাড়া দিল কেএনএফ?

মাসুদ করিম, ঢাকা অফিস

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৪  

ইসরাইল স্টাইলের রাষ্ট্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা

 

বাংলাদেশের পাহাড়ে হঠাৎ অশান্তি

 

পাহাড়ে সম্প্রতি বেড়ে গেছে হত্যা, গুম, অপহরণ, গোলাগুলি। সংঘাতময় পরিস্থিতির চূড়ান্ত রূপ দেখা গেলো ঈদের আগে কয়েকটি ব্যাংক লুটের ঘটনার মাধ্যমে। পাহাড়ের বড় কোনও গ্রুপ নয়। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট  (কেএনএফ) নামের ছোট একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হঠাৎ এই ঘটনা ঘটালো। কেএনএফের তৎপরতার কথা গত কয়েক বছর যাবত শোনা গেলেও তারা এত বড় দুঃসাহস দেখাবে সেটা ছিল কল্পনারও বাইরে। এ ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায় নড়েচড়ে উঠেছে। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধানের মতো নিরাপত্তার শীর্ষ কর্তারা কেএনএফ অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকা সফর করেছেন। পাহাড় ফের অশান্ত হয়ে উঠলো কিনা এই চিন্তায় সবাই উদ্বিগ্ন।

কেএনএফ হঠাৎ কেন মাথাচাড়া দিলো তা নিয়ে চলছে এখন নানামুখী বিশ্লেষণ। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ‘ইনসার্জেন্ট’ কবলিত অঞ্চলে ‘ইসরাইল’ স্টাইলের একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার গল্প অনেক দিন ধরে মানুষের মুখে মুখে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সেই গল্পে ঘি ঢেলে দিলেন। তিনি বলেন, পাহাড় উত্তপ্ত হওয়ার পেছনে বিদেশি হাত আছে। ভারতের মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও মিজোরাম নিয়ে ইস্টার্ন স্টেট গঠনের পরিকল্পনা দীর্ঘ দিনের। এদের নিয়ে ভারত খুব বিরক্ত। পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে এই পরিকল্পনার যুগসূত্র আছে বলে তিনি মনে করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতরের লক্ষ্যে পুলিশ, র‌্যাব অভিযান শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী এই অভিযানে যোগ দেবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সেনাপ্রধান। একই দিনে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি সই হয়। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের কারণে শান্তি আলোচনা সফলতার মুখ দেখে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) বিচ্ছিন্নতাবাদিদের পক্ষে চুক্তিতে সই করে। তারপর জেএসএস নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরপে সন্তু লারমার নেতৃত্বে কতিপয় জেএসএস সদস্য অস্ত্র জমা দিলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হয়। জেএসএস গ্রুপটিতে পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ চাকমা, মারমা এবং ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে। শান্তিচুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তিনি এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের এক-দশমাংস অঞ্চল ‘বিক্রি’ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসায় শান্তিচুক্তির পক্ষে জনমত সৃষ্টি হয়।

কারো কারো মতে, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পসমূহ সরিয়ে ফেলার কারণে অপরাধীরা তলে তলে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনা ক্যাম্প পুনরায় স্থাপন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, অশান্তি সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীকে সমূলে নির্মূল করা প্রয়োজন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির বীজ রোপিত হয়েছিল কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে। পাকিস্তান আমলে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অনেক বাড়ি তলিয়ে যায়। তারপর জিয়াউর রহমানের আমলে অনেক বাঙালিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়। তারপর থেকে শুরু হয় পাহাড়ি-বাঙালী বিরোধ। এই ধরনের ছোটখাট ক্ষোভ-অসন্তোষ বড় হয়ে দেখা দিলে সংঘাত শুরু হয়। দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরিসমাপ্তি ঘটে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে। তাই কারো কারো মতে, অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি শান্তি আলোচনার পথ খোলা রাখা প্রয়োজন। কেএনএফের সঙ্গে এক ধরনের শান্তি আলোচনা চলছিল। তার মধ্যে ব্যাংক লুট ও ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফ। তাই অনেকে আবার মনে করেন, শান্তি আলোচনা বন্ধ করে এদের একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত।

বান্দরবানে পাহাড়ের সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় মানুষ বাস করেন। সেখানে প্রায় ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসবাস করেন। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির বসবাস করার কারণে বান্দরবান পর্যটনের ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছিল। নাথান বম নামের এক তরুণ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে পাস করে নিজ এলাকা বান্দরবানে একটি সামাজিক গ্রুপ গঠন করেন। তাদের মূল দাবি ছিলÑচাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা বাদে অন্য জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়াই, সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। হঠাৎ বান্দরবানের রুমা, থানচি, আলী কদম প্রভৃতি কয়েকটি এলাকায় কুকিদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি জানান। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা সশস্ত্র হামলা পরিচালনা শুরু করেন।

কেউ কেউ মনে করেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় তরুণ সমাজে ক্ষোভ আছে। এই ক্ষোভকে পুঁজি করে নাথান বম তরুণ সমাজকে সংগঠিত করেন। যতদিন পর্যন্ত বাইরের আশ্রয়-প্রশ্রয় করেনি তত দিন সবাই শান্তিপূর্ণ সংগঠন করেছে। ইদানিং তারা বাংলাদেশের বাইরে সামরিক প্রশিক্ষণের সুযোগ গ্রহণ করছে। তারা সামরিক পোশাক পরে ফেসবুকের সামনে আসছে।

কেএনএফের এমন দুঃসাহস দেখে কেউ কেউ এই ঘটনা সঙ্গে বড় শক্তিগুলোর সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেন। এই অঞ্চলে চীনের আধিপত্যকে মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধীদের সহায়তার লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসে ‘বার্মা অ্যক্ট’ পাস হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইও চলমান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষের ইন্ধনে কেএনএফ এমন হামলা শুরু করেছে কিনা সেটা এখন বিবেচ্য বিষয়।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর