গ্রামে কেন আত্মহত্যা বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮
দেশে বছরজুড়ে যে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটে সেসবের মাত্র কয়েকটি গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আর অন্য ঘটনাগুলোর খবর আসলেও তা তেমন চোখে পড়ে না। গণমাধ্যমগুলোতে শহরের আত্মহত্যার ঘটনাগুলো একটু বেশি জায়গা পেলেও গ্রামে আত্মহত্যার হার বেশি।
২০১৮ সালে সংঘটিত আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শহরের তুলনায় গ্রামে আত্মহত্যা বেশি হয়। সমাজ গবেষকরা বলছেন, শহুরে ছেলে-মেয়েদের তুলনায় গ্রামের ছেলে-মেয়েদের চলাফেরা ও বিচরণের ক্ষেত্র সীমিত। এছাড়া গ্রামীণ পরিবারগুলোতে এখনও প্রবীণদের সঙ্গে নবীনদের আলোচনার সুযোগ না থাকার কারণে আত্মহত্যার হার বেশি। সামাজিক ও মানসিক চাপ এবং অপবাদের ঝুঁকিতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রথম সারির তিনটি দৈনিকে আত্মহত্যার খবর প্রকাশিত হয়েছে ৫০৮টি। এরমধ্যে ২৭৪ জন নারী ও ২৩২ জন পুরুষ। এরমধ্যে মহানগরী এলাকায় ৫৩ জন, শহুরে এলাকায় ১১৫জন এবং গ্রামে ২১৭জন আত্মহত্যা করেছেন। সংবাদগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, আত্মহত্যা বেশি ঘটেছে গ্রাম এলাকায় এবং ধরন হিসেবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি।
আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে বলতে গিয়ে শিশু অধিকার নিয়ে কর্মরত সেভ দ্য চিলড্রেনের ডিরেক্টর (চাইল্ড প্রোটেকশন অ্যান্ড চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি মনে করি এখনও আমাদের গ্রামগুলোতে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বন্ধন প্রবল। ফলে অনাকাঙ্খিত কোনও কিছু ঘটলে তা নিয়ে "লোকলজ্জা" বা এ বিষয়ক মানসিক চাপটা শহরের তুলনায় গ্রামে অনেক বেশি। শহরে একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় সীমিত বলে, যে কেউ অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পড়লেও নিজেকে আড়াল করা সুযোগ পায়, যা গ্রামে সম্ভব নয়। বরং পরিচিত গ্রামীণ বলয়ে প্রতিটি ঘটনা অনেক ডালপালা গজিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পরে। এর ফলে অনেক সময় কিশোর-কিশোরীরা এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে আত্মহননের মত অগ্রহণযোগ্য পথ বেছে নেয়।
এছাড়া শহুরে ছেলে-মেয়েদের তুলনায় গ্রামের ছেলে-মেয়েদের চলাফেরা ও বিচরণের ক্ষেত্র সীমিত হওয়ায়, অনেক বিষয়ে তারা অন্যদের সহযোগিতা নিতে পারে না। কারও সঙ্গে একান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে না। গ্রামীণ পরিবারগুলোতে এখনও প্রবীণদের সঙ্গে নবীনদের খোলামনে আলোচনার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এসব কিছু মিলিয়ে দেখা যায় গ্রামীণ কিশোর-কিশোরীরা শহরের তুলনায় অনেক বেশি সামাজিক ও মানসিক চাপ এবং অপবাদের ঝুঁকিতে থাকে।’
মনোরোগ বিশ্লেষক মেখলা সরকার বলেন, ‘সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে এক ধরনের সিদ্ধান্তে আমরা এসেছি। গ্রামের মানুষ আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যা বেশি করে। হঠাৎ রাগ হলো কিংবা কষ্ট পেলো, এসময় হাতের কাছে বিষ থাকলে খেয়ে ফেলা বা গলায় ফাঁস লাগানো। এই প্রবণতা গ্রামে বেশি। নানাবিধ কারণেই গ্রামে কিটনাশক হাতের নাগালে থাকে বলে ঘটনা বেশি ঘটে থাকতে পারে।’
আরেকটি কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও কারণে চাপ হলে, কষ্ট আসলে সেটিকে শক্তভাবে মোকাবিলা করা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের মানুষের মধ্যে বঞ্চনা বেশি, মেয়েদের অবস্থানও তুলনামূলক নাজুক। এ কারণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পেরেও তারা এমন পথ বেছে নেয়।’
অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে গ্রামে আত্মহত্যার হার বেশি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন। তিনি মনে করেন কেবল হতাশা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটে তা নয়, অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা আত্মহত্যার পরিস্থিতিও তৈরি করে দেয়। আর এর জন্য সবচেয়ে ভয়াবহভাবে দায়ী যৌতুক প্রথা। যৌতুক নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক নারী আত্মহত্যা করে থাকে এবং সেটি গ্রামেই বেশি হয়।’
*১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনটি দৈনিকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে
- মাঝরাতে সাংবাদিকের মেসেজের ‘স্ক্রিনশট’ নিয়ে ফারিয়ার পোস্ট
- এভাবেও জামদানি উপস্থাপন করা যায়!
- হকি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ
- গবেষণাগার থেকে লিক হয়েছিল কোভিডের ভাইরাস: মার্কিন তদন্ত
- জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি নিয়ে নতুন নোট আসছে
- বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা
- প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে সোহেল তাজের কড়া বার্তা
- বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় ভারত: হাইকমিশনার
- হজযাত্রীর টাকা বিনিয়োগ না করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ
- বাইডেন ছেলেকে ক্ষমা করে ‘বিচারের গর্ভপাত’ করেছেন: ট্রাম্প
- কানাডাকে ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
- জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন ড. ইউনূস
- আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সেবা বন্ধ
- নাহিদ রানার ৫ উইকেট, ক্যারিবীয়দের ১৪৬ রানে গুটিয়ে লিড বাংলাদেশের
- নেতাদের চালচলনে মানুষ যেন কষ্ট না পায় : তারেক রহমান
- বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো ভারতের হোটেল
- মাইক্রোচিপ প্রস্তুতকারক
- ইউরোপ যাওয়ার পথে ১৪ দিন অনাহারে, মরদেহ সাগরে ফেলা
- ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট
- বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ভারতের দুঃখ প্রকাশ
- ভারতে সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় উত্তাল ঢাবি
- আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের
- বিয়ে নিয়ে যা বললেন সাফা কবির
- বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন
- ভারতের উদ্দেশে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
- দিল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মেক্সিকান ভিসা
- বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার
- চারদিনে ৬২ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ইসরাইলের, নিহত ২
- বিশেষ সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
- শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- যে শর্তে ইসরাইলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ
- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার পরামর্শক পর্ষদ
- আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে হিজবুল্লাহর নাম বাদ
- শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত করছে নিউইয়র্ক
- যে কারণে নিউ ইয়র্কে চাকরি ছেড়েছেন ৫ লাখ মানুষ
- আজকের সংখ্যা আজকাল ৮৩৬
- কাল পবিত্র হজ
ঈদ রোববার - রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে: ডিপজল
- পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
- মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা
- নিউইয়র্ক মাতালেন মমতাজ
- পর্তুগালে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
- আজকের আজকাল সংখ্যা ৮৩১
- হজে যেতে পারেননি বহু প্রবাসী
- বিয়ে হলেও বিয়ের প্রিমিয়ার হবে না
- আনন্দ-বেদনায় কানাডা প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- মানুষের ধ্বংসই শয়তানি শক্তির আরাধ্য
- হারিয়ে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বই বিক্রেতারা
- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নিষেধাজ্ঞা’র রাজনৈতিক অর্থনীতি
- অসম্মান তো সবার জোটে না, আমার না হয় জুটলো
- অগুণিত সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে
- ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার!
- নাইপলের মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্বসাহিত্য অঙ্গন
- বাংলাদেশ ও আমার সেই ভালো লাগার অনুভূতি
- ‘এই ছাত্র রাজনীতির কাছে আমরা অসহায়’
- নিষেধাজ্ঞা নয় হুশিয়ারি
- বাংলাদেশকে বাঁচাবেন কারা
- যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে
- নতুন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপট-উদ্দেশ্য
- ‘অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার সম্পর্ক নেই’
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা