বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৭০১

দেশের রাজনীতি নিয়ে প্রবাসে এ কী হচ্ছে!

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩  


   
মন্তব্য প্রতিবেদন :
নিজ বাসভূমি থেকে প্রায় দশ হাজার মাইল দূরত্বের এই আমেরিকায় আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিরা দেশের রাজনীতি নিয়ে এ কী কান্ড করছেন? দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র নামে বিভক্ত দুটি পক্ষ মূলত এখানে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশি কমিউনিটিকেই বিভাজিত  করে ফেলেছেন। দেশের মায়া ত্যাগ করে এই প্রবাসে চলে আসা মানুষদের যেখানে সুখে-দুখে একসাথে থাকার কথা সেখানে তারা এখন লিপ্ত পারস্পরিক কোন্দলে। এ কোন্দল দুঃখজনকভাবে এখন আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে রূপ নিয়েছে হানাহানিতে, সহিংসতায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা এই বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আমেরিকার মাটিতে কেন আমাদের হানাহানিতে লিপ্ত হতে হবে? রাজধানী ওয়াশিংটনের প্রকাশ্য রাজপথে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে পরস্পরের ওপর হামলা, পানির বোতল ছুঁড়ে মারা, কিল-ঘুষি এমনকি হাতের লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হওয়া এবং পরিণামে পুলিশের ধমক, গ্রেফতার এবং গাড়ির সঙ্গে চেপে ধরে হাতকড়া পরানো ইত্যাদি সব ঘটনা কি কোন সভ্য জাতির জন্য শোভা পায়? এই সব ঘটনা আমাদের ভাবমূর্তিকে কোথায় নামিয়ে দিয়েছে সে বোধ কি তাদের আদৌ আছে?
বলতে দ্বিধা নেই, এই বোধের পরিচয় দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী কমিউনিটি হিসাবে নিজেদের যে ইমেজ বাংলাদেশিরা দিনে দিনে গড়ে তুলেছে তাকে নস্যাৎ করে দিতে তারা সামান্যতম কুন্ঠিত হননি। আমেরিকার মাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ বা বিক্ষোভ করে আসলে তাদের কোন স্বার্থ হাসিল হচ্ছে তাও সকলের কাছে বোধগম্য নয়। দেশের রাজনীতিতে এদের এই কর্মকান্ডের মূল্যায়ন কিভাবে হচ্ছে, দলীয় হাই কমান্ডের কাছে প্রবাসীদের এই রাজনৈতিক তৎপরতা কতটা সমাদৃত হচ্ছে সে সম্পর্কে কমিউনিটি সম্যক ওয়াকিবহাল নয়।
দেশের রাজনীতিতে দলগুলির সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হলো ভোট। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নেই। সে দিক দিয়ে তাদের সমর্থন বা বিরোধিতার কোন মূল্য থাকার কথা নয়। তার পরও কেন তারা এই দূর দেশে বাস করে পক্ষে-বিপক্ষে এমন হানাহানি করেন?
ইতোপূর্বে আমরা লক্ষ্য করেছি দেশের রাজনৈতিক নেতারা আমেরিকা সফরে এসে দলীয় নেতা-কর্মীদের নসিহত করতেন এদেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে। এদেশের রাজনীতিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখতে। এ নসিহত এখনকার রাজনীতিকদের মুখে শোনা যায় না। এখনকার রাজনীতিকরা এদেশে এসে কর্মীসভায় সংবর্ধনা নেন এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা করে উত্তাপ ছড়িয়ে দেন। সেই উত্তাপে উজ্জ¦ীবিত হয়ে কর্মী সাধারণ আরো দ্বিগুন উত্তেজনায় রাস্তায় নেমে আসেন। স্বীকার করতেই হবে, এই কর্মীরা নিবেদিতপ্রাণ। দলের জন্য, দলের নেতা-নেত্রীদের পক্ষে তারা জান কবুল করে দিতেও পিছপা হন না। তারাই জঙ্গী মনোভাব নিয়ে রাস্তায় নামছেন, দল এবং নেতা-নেত্রীর পক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন এবং প্রয়োজনে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন।
আমেরিকায় আশ্রয় নেয়া অন্য আর কোন দেশের মানুষ কি নিজ দেশের রাজনীতি নিয়ে এখানে হানাহানি করছেন? আর কোন দেশের অভিবাসীরা কি এ দেশে বসে নিজেদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলির শাখা গঠন করছেন? রাজনৈতিক উত্তাপ তো কম-বেশি সব দেশেই রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশি প্রায় সবগুলি দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা তো নানা রাজনৈতিক ইস্যুতে টগবগ করছে। এ সব দেশের হাজার হাজার মানুষ এদেশে বসবাস করছেন। তাদের রাজনীতি সচেতনতা, নিজ মাতৃভূমির প্রতি তাদের ভালবাসা বাংলাদেশিদের চাইতে নিশ্চয় কোন অংশে কম নয়। কিন্তু তারা কি কেউ নিজের দেশের রাজনীতি নিয়ে এখানে মাতামাতি করছেন? ‘দেশ উদ্ধারের’ যত দায় শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এমন ‘ফরজ’ হয়ে উঠল কেন?      
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমের যারা ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন নিউইয়র্কে ফিরে আসার পর সাধারণ অভিবাসী থেকে শুরু করে সবাই তাদের কাছে শুধু বাংলাদেশিদের মারামারি-হাতাহাতির কথাই জানতে চাইছেন। কেউ একটিবারের জন্যও জানতে চাননি, যে বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন বাতিল করেছিল বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল সেই সংস্থাটি থেকে বাংলাদেশ কিভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ আদায় করে নিল!  
এই সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে কার কি স্বার্থ হাসিল হচ্ছে তা আজ এক বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে কমিউনিটির সামনে। এ নিয়ে যে যার মতো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করছেন। কমিউনিটি বিশ্বাস করে  প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাস্তায় অবস্থান নেয়ার পরিণামে অনেকেরই ভাগ্য ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে গুটিকয়েক নেতা এখান থেকে ঠিকই স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছেন। নিউইয়র্কের বাংলা সাপ্তাহিকগুলি নানাভাবে এ ব্যাপারে আভাস দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সরকারি দলের যারা রাস্তায় নেমেছিলেন তারা অনেক ক্ষেত্রেই নানা সুবিধার অধিকারী, বিশেষ করে দলের নেতৃবৃন্দ। এই নেতৃবৃন্দের মধ্যে কেউ কেউ ব্যাংকের মালিকানা পেয়েছেন, কেউ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। একটি সাপ্তাহিকে লেখা হয়েছে শেখ হাসিনার পক্ষে রাস্তায় অবস্থান নেয়ার কারণে ‘বিশাল পুরস্কার’ পেতে চলেছেন একজন শীর্ষ নেতা। দলের আরো যারা আছেন তারাও সুবিধাভোগী নয়ত সুবিধার আশায়।
আর বিরোধী পক্ষে যারা হানাহানিতে জড়িয়েছেন, পত্রিকার ভাষায়, তারা নাকি তাদের ‘কৃতিত্বের’ সেলফি তুলে লন্ডন-ঢাকায় পাঠিয়েছেন। তারা আশায় আছেন ভাগ্যে কিছু জোটার। আশায় আছেন দলীয় নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হওয়ার, দল ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে আরো বড় কিছু প্রাপ্তির! প্রসঙ্গত আরো একটি বিষয় এখানে উল্লেখযোগ্য। নামে গণতান্ত্রিক হলেও এই প্রবাসের কোন রাজনৈতিক দলের শাখা কমিটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয় না। ঢাকা বা লন্ডন থেকে তাদের কমিটি ‘নাজেল’ হয়। সেখান থেকেই যাদেরকে নেতা বানিয়ে দেয়া হয় তারাই এই সব সংগঠনের নেতৃত্ব দেন।   
নির্দ্বিধায় বলা যায়, দেশীয় রাজনীতির নামে কিছু মানুষের এইসব ব্যক্তিগত স্বার্থে জলাঞ্জলি যাচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটির মান-মর্যাদা, নস্যাৎ হচ্ছে তাদের ভাবমূর্তি।
সার্বিক পরিস্থিতিতে বরাবরের মতো আবারও তাদের প্রতি কমিউনিটি আহ্বান, বন্ধ করুন বিদেশের মাটিতে দেশের রাজনীতি নিয়ে দলবাজি, বন্ধ করুন সংঘাত-সংঘর্ষ, হানাহানি। অংশ নিন এ দেশের রাজনীতিতে। এগিয়ে আসুন কমিউনিটির কল্যাণে।

 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর