নিউইয়র্কে শিক্ষা-সংস্কৃতি সংগঠক রত্না চৌধুরীর প্রয়াণ

নিউইয়র্কের কুইন্স ভিলেজ নিবাসী সংস্কৃতি সংগঠক রতœা চৌধুরী আর নেই। প্রায় ২ বছর দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ জানুয়ারি রাত ১১টা ৯ মিনিটে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

 মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বৎসর। তিনি স্বামী এডভোকেট তরুণ কান্তি চৌধুরী, পুত্র রাজর্শী চৌধুরী তুহিণ,কন্যা রুচিরা চৌধুরী তৃষা, মা বাসনা দত্ত সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, পরিজন শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তার পিতা নরেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ছিলেন নেএকোনা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। রতœা চৌধুরী ৯ ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন পঞ্চম।

শিক্ষা, সমাজ গঠন ও সংস্কৃতিতে নিবেদিত প্রাণ রতœা চৌধুরীর জন্ম ১৯৬১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা শহরে। সেখানে শিক্ষা জীবন শুরু করার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মোহনগন্জ ডিগ্রী কলেজে রসায়নে অধ্যাপনা করা কালে ১৯৮৬ সালে সুনামগন্জ ধর্মপাশা নিবাসী এডভোকেট তরুণ চৌধুরীর সঙ্গে পরিনয়সূত্রে আবদ্ধ হন।

রতœা চৌধুরী ১৯৯৭ সালে সপরিবারে নিউইয়র্কে আসেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত রতœা চৌধুরী ছিলেন বেদান্ত এসোসিয়েশনেরসিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার পরিচালনায় অসংখ্য গীতিনাট্য, নৃত্য নাট্য, নাটক -নাটিকা মঞ্চস্থ হয় । আমৃত্যু তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

গত ২৫ জানুয়ারি নিউইয়র্কের একটি ফিউনারেল মিলনায়তনে রতœা চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে বর্ণ-ধর্ম সম্প্রদায় নির্বিশেষে বহু লোকের সমাগম হয়। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে পূজা- অর্চনা, নাম- সংকীর্তন-এর  আয়োজন করা হয়। রতœা চৌধুরীর জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন বেদান্ত এসোসিয়েশনের পক্ষে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জীবন চৌধুরী, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তরুণ চন্দ নীলু এবং পরিবারের পক্ষ থেকে তরুণ চৌধুরী,রুচিরা চৌধুরী তৃষা, শর্মিষ্ঠা চন্দ বৃষ্টি, তৃনা দাশগুপ্ত ও শোভিক দাশগুপ্ত। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পুরোহিত প্রভাস চক্রবর্তী। পরদিন ২৬ জানুয়ারি রতœা চৌধুরীর মরদেহের মাঙ্গলিক সৎকার আনুষ্ঠনিকতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল আড়াইটায়  শ্রাদ্ধানুষ্ঠান কুইন্স ফ্লোরাল পার্কের শিব শক্তি পীঠ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে। ে