রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৩ ১৪৩১   ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৮৫

ফ্রান্সে বামপন্থীদের জয়

আজকাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৪  


ফ্রান্সে কট্টর ডানপন্থী শক্তিকে আটকাতে জোটবদ্ধ হয়েছিল দেশটির বামপন্থী শক্তিগুলো। কিন্তু তারা যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে, তা কেউ ভাবেনি।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইইউ) নির্বাচনে হারের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। এরপর দ্রুত নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। ফ্রান্সে নিজের জনপ্রিয়তা নতুন করে তৈরি করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যা ভেবেছিলেন, বাস্তবে তা হলো না।
ইউরোপের অন্যান্য দেশে মতো ফ্রান্সেও ডানপন্থীদের প্রভাব ক্রমে বাড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে এর প্রতিফলন দেখা গেছে। এ পরিস্থিতিতে কট্টর ডানপন্থীদের জনপ্রিয়তা কমাতে জোটবদ্ধ হয়েছিল ফ্রান্সের বামপন্থী দলগুলো। একটি বৃহত্তর জোট হিসেবে সামনে এসেছিল তারা। যার মধ্যে ছোট ছোট কট্টর বামপন্থী দল যেমন আছে, তেমনি সমাজতান্ত্রিক, গ্রিন পার্টির মতো দলও আছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ডানপন্থীদের জনপ্রিয়তা কমানো।
ডানপন্থীদের ঠেকাতে গঠিত নতুন জোটের নাম দেওয়া হয়েছিল নিউ পপুলার ফ্রন্ট। রোববারের নির্বাচনের পর দেখা গেল, সেই জোটই সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। যদিও তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সব মিলিয়ে তাদের দখলে ১৮২টি আসন। এর ঠিক পরই আছে মাখোঁর মধ্যপন্থী দলের জোট এনসেম্বল। তৃতীয় স্থানে ডানপন্থী এনআর। আর চতুর্থ স্থানে রিপাবলিকান দল।
গত সোমবার ফলাফলের পূর্বাভাস দেখেই বামপন্থী জোটের অন্যতম নেতা জ্যঁ লুক মেঁলশঁ ঘোষণা দেন, তাঁরাই সরকার গড়বেন। লেফট উইং ফ্রান্স আনবোড (এলএফআই) দলের নেতা তিনি। এ সময় জোটের অন্য নেতারাও পাশে ছিলেন।
এরপর গ্রিন পার্টির প্রধানও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জিতেছি। আমরাই সরকার গঠন করব।’ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রধান অলিভার ফউরে বলেছেন, ‘নতুন ইতিহাসের মুখোমুখি ফ্রান্স। পপুলার ফ্রন্টকেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’ ভাষণে নিজেদের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফউরে। জানিয়ে দিয়েছেন, কোনোভাবেই তাঁরা মধ্যপন্থী জোটের সঙ্গে হাত মেলাবেন না।
এর আগে এই সোশ্যালিস্ট পার্টি বা সমাজতান্ত্রিক দল ক্ষমতায় এসেছে। দুবার ফরাসি সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা আছে তাদের। এবার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আগেও এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে তারা। তখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির। কিন্তু লোকসভায় নেতৃত্ব দিয়েছে তারা। ফলে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে এই দলের। এলএফআই নেতা মেঁলশঁ একসময় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা ছিলেন।
বামপন্থীদের মনোভাব:
সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় বামপন্থী দলগুলো তাদের মতামত স্পষ্ট করে জানিয়েছে। সেই মতামত মাখোঁর অভিমতের চেয়ে অনেকটা আলাদা। গাজার ঘটনায় তারা সরাসরি ইসরায়েলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। মেঁলশঁর মনোভাব অ্যান্টিসেমেটিক (ইহুদিবিরোধী) বলেই সে সময় মনে করা হয়েছিল। অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ন্যাটোর যথেষ্ট সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘ন্যাটো রাশিয়াকে উত্ত্যক্ত করছে।’ ন্যাটো থেকে ফ্রান্সের সরে আসা উচিত বলেও তিনি মতপ্রকাশ করেছিলেন।
বামপন্থী জোটে এলএফআইয়ের পরই শক্তিশালী দল গ্রিন পার্টি। এরপর আছে ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টি। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফরাসি অঞ্চল পলিনেশিয়ার স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছে যে বামপন্থী দল, তারাও এই জোটে আছে।
মধ্যপন্থীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ সরকার গড়তে চান না মেঁলশঁর মতো নেতা। আবার মাখোঁও চান না মেঁলশঁর মতো নেতার সঙ্গে সরকার গঠন করতে। কিন্তু ফ্রান্সে কোনো জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে যে দলই সরকার গঠন করবে, পার্লামেন্টে তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। এর আগে ২০২২ সালে কট্টর ডানপন্থীদের হারাতে সবাইকে এক ছাতার নিচে আসার আহ্বান জানিয়েছিল বামপন্থীরা। এবারও সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও শেষ পর্যন্ত মধ্যপন্থী ও বামপন্থীরা কাছাকাছি আসতে পারবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর