বাইডেন–ট্রাম্পকে নিয়ে কী ভাবছে মস্কো, বেইজিং ও দিল্লি
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে শুধু দেশটির নাগরিকদেরই নয় বরং পুরো বিশ্বেরই তুমুল আগ্রহ থাকে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এবং হোয়াইট হাউস থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত নানাভাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রভাব ফেলে। তাই পুরো বিশ্বই গভীর মনযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে নজর রাখে। এ বছর নভেম্বরে নিজেদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন মার্কিন ভোটাররা।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচার এখন তুঙ্গে। গতবারের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমোক্রেটিক দলের জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারও প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।
বিবিসির আটটি দেশের আটজন সংবাদদাতা নিজ নিজ দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ও উত্তেজনার খবর পাঠিয়েছেন।
রাশিয়া নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতার ওপর গভীর মনযোগ রাখবে
কল্পনা করুন আপনি ভ্লাদিমির পুতিন। সেক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসে আপনি কাকে দেখতে যান? ওই ব্যক্তিকে যিনি (জো বাইডেন) আপনাকে ‘খুনি’ বলেছেন এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নাকি ওই প্রার্থীকে, যিনি কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং রাশিয়াকে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যেই নিজের ভাগের প্রতিরক্ষা ব্যয় পূরণ করতে ব্যর্থ হবে, রাশিয়া সেখানে ‘যা খুশি তাই করতে পারবে’। নিশ্চিতভাবেই এই ব্যক্তিটি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পুতিন অবশ্য সব সময় অন্যদের হতবাক করার সুযোগ খোঁজেন। যেমন মার্কিন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি আসলে জো বাইডেনকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চান। কারণ, বাইডেনকে অনেক বেশি ‘অনুমান’ করা যায়।
প্রকাশ্যে পুতিন এ কথা বললেও এটাকে প্রকৃত সত্য ভেবে নেওয়ার ঠিক হবে না। মস্কো খুব সম্ভবত এই নির্বাচনকে ন্যাটো-দর্শন, ইউক্রেন-দর্শন এবং একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখছে। যা তাদের ভূরাজনৈতিক কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বাইডেন বা ট্রাম্প—কাউকেই মস্কোর জন্য নিশ্চিতভাবে সুবিধার বলা যাবে না। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ক্রেমলিনকে রীতিমত হতাশ করেছেন।
বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা বলছেন, ২০১৬ সালে রাশিয়ার একজন কর্মকর্তা তাঁর কাছে স্বীকার করেছিলেন, তিনি ঘটা করেই ট্রাম্পের জয় উদ্যাপন করেছিলেন। তাঁর সে উদ্যাপন জলে ভেসে গেছে। রুশ কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করেছিলেন, ট্রাম্পের আমলে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নতি হবে। বাস্তবে তেমন কোনো কিছুই ঘটেনি।
ট্রাম্প এবার জিতে গেলে নিজেদের দ্বিতীয় মেয়াদেও রাশিয়াকে একই অনুভূতি দেবেন না, সে নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?
তবে নির্বাচনে যে–ই জিতুন, রাশিয়া নিশ্চতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন–পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রে মেরুকরণের ওপর গভীরভাবে মনযোগ রাখবে, সেটা থেকে সুবিধা লাভের চেষ্টা করবে।
তাইওয়ানের জন্য বড় পার্থক্য
উভয় প্রার্থীই বেইজিংয়ের ওপর কঠোর হওয়ার এবং বিশ্ববাণিজ্যে চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রায় একই নীতিতে চলেন। কিন্তু চীনের আঞ্চলিক প্রভাবের বিরুদ্ধে দুই প্রার্থীর মনোভাব সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বাইডেন সেখানে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করেছেন। আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে মিলে তিনি বেইজিংয়ের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে চান। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার পরিবর্তে ‘বেস্ট ডিলের’ দিকে বেশি মনযোগ দিয়েছেন। এমনকি তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকির সুরে বলেছিলেন, যদি তারা ওয়াশিংটনকে আরও অর্থ না দেয়, তবে তিনি দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সরিয়ে নেবেন।
তাইওয়ানকে নিয়েও দুই প্রার্থীর অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন।
একাধিক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছেন, যদি চীন স্বাধীনতা ঘোষণা করা তাইওয়ানকে তাদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আবার যুক্ত করার চেষ্টা করে, তবে নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী তিনি দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবেন। চীন তাইওয়ানকে তাদের অংশ মনে করে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও তাদের আবার একত্রিত করা হবে।
কিন্তু ট্রাম্প তাইওয়ানের বিরুদ্ধে মার্কিন বাণিজ্যে ক্ষতি করার অভিযোগ করেছেন। তাইওয়ানে সহায়তা পাঠানোর একটি বিলে আপত্তিও জানিয়েছিলেন তিনি। তাই প্রশ্ন উঠেছে, প্রয়োজন পড়লে তিনি তাইপেকে সহায়তা করবেন কিনা।
চীনের জন্য অবশ্য উভয় প্রার্থীই অপছন্দের। বেইজিংয়ের চোখে চঞ্চলমতি ট্রাম্প ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে তাদের দুর্বল করে দিতে পারেন। তবে, তাঁর আমলে একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে আবারও বাণিজ্য–লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে।
বাইডেন আরও চার বছরের জন্য ক্ষমতায় ফেরেন, বেইজিং সম্ভবত এটাও চায় না। তাদের বিশ্বাস, বাইডেন যেভাবে জোট গঠন করে চলেছেন, তাতে নতুন আরেকটি স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
ইউক্রেনকে দর্শক হয়েই থাকতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইউক্রেনের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটা হয়তো আর কোনো দেশের জন্য নয়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন অর্থ এবং অস্ত্র কিয়েভের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও হাতে গোনা কয়েকজন বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলও ইউক্রেনকে খুব বেশি অসুবিধায় পড়তে হবে না। ইউরোপ দ্রুত ও সহজে শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবে।
বিশ্ব রাজনীতিতে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা চললেও কিয়েভের বাসিন্দাদের কাছে অবশ্য আপনি যেমনটা প্রত্যাশা করছেন, মার্কিন নির্বাচন তার চেয়ে কম গুরুত্ব পাচ্ছে।
কিয়েভের এক বাসিন্দা এ বিষয়ে বলেছেন, মনে হচ্ছে নভেম্বর এখনো অনেক দূরে। তাঁরা বরং রাশিয়ার বাড়তে থাকা আক্রমণ এবং ইউক্রেন বাহিনীর তাদের প্রতিহত করার যুদ্ধের দিকে অধিক মনোযোগ দিচ্ছেন।
দুই প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী প্রচারে ইউক্রেন নিয়ে কী বলছেন, সে বিষয়েও তাঁরা সচেতন। ট্রাম্পের কথা বলতে গেলে এখানকার বিশ্লেষকেরা জানানে, তিনি এ যুদ্ধ শেষ করার কথা বলেছেন এবং সেখানে সহায়তা পাঠানো বন্ধ করার কথাও।
অনেকের আশঙ্কা, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তিনি ইউক্রেনকে এমন চুক্তিতে যেতে বাধ্য করতে পারেন, যেটা তাদের পছন্দ হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, একজন প্রেসিডেন্ট কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটার ওপর সব কিছু নির্ভর করে। একজন প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণার সময় বা বিতর্কের সময় কী বলছেন, সেটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সেইসঙ্গে সবাই এটাও বুঝে গেছেন, যদি জো বাইডেনই আবার জেতেন, তবুও ইউক্রেনের চ্যালেঞ্জ শেষ হবে না। বরং প্রশ্ন উঠবে, কংগ্রেস কত দিন সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
তাই ইউক্রেনের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হলেও আপাতত তাদের দর্শক হয়েই থাকতে হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের জন্য আরও অনিশ্চয়তা
যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা বিবিসিকে বলেছেন, তাঁরা খানিকটা আতঙ্ক নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে নজর রাখছেন। তাঁদের এই অস্বস্তির একটি কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত, যা যুক্তরাজ্যেও প্রভাব ফেলবে।
যদি ট্রাম্প ফিরে আসেন, তবে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কি কমে যাবে? তাহলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবেন? তিনি কি ন্যাটো সামরিক জোট নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে আবারও বিবাদে জড়াবে? তিনি কি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আগুন আরও উসকে দেবেন? বাইডেন কি শারীরিকভাবে আরও চার বছর দায়িত্ব পালনের জন্য সক্ষম ও সুস্থ থাকবেন?
অন্য একটি বিষয় নিয়েও বড় ধরনের উদ্বেগে রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেটা হলো আগামী ৫ নভেম্বরের ভোটের ফলাফলে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান যদি সামান্য হয় এবং পরাজিত প্রার্থী যদি হার মেনে না নেন, তবে কী ২০২১ সালের ক্যাপিটল দাঙ্গার চেয়েও ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে?
রাজনৈতিক বিভেদ থেকে যদি আমেরিকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচার উসকে উঠতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা চলে, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা অনিশ্চিয়তার মধ্যে যুক্তরাজ্যের জন্য আরও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে।
গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় হামাস-ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে শুরুর দিন থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন করে যাচ্ছেন বাইডেন। দেশটির জন্য অস্ত্র সহায়তা পাঠানোও অব্যাহত আছে। যদিও গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ায় এবং যুদ্ধে প্রচুর বেসমারিক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ায় বাইডেন দারুণভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।
বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি মনে করেন, বাইডেন তাদের দুর্দশাকে অবজ্ঞা করছেন। অন্য দিকে, জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইহুদি ইসরায়েলিদের একটি বড় অংশ মনে করে, ইসরায়েলের জন্য বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্প ভালো হবেন। বাইডেন যেভাবে গাজা যুদ্ধ সামলাচ্ছেন, সেটা তাদের বেশির ভাগেই পছন্দ না।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ইসরায়েলিদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। ট্রাম্পের আমলেই প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আব্রাহাম চুক্তি করে ইসরায়েল। এসব বিষয়ের কথা ইহুদি ইসরায়েলিরা স্মরণে রেখেছেন।
ফিলিস্তিনিরা অবশ্য ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনের দ্বিতীয় মেয়াদে সামান্য হলেও আশা খুঁজে পাচ্ছেন। কারণ, ট্রাম্প বলেছেন, যদি তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ত্রাণ তিনি বন্ধ করে দেবেন।
বাইডেন দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নীতির সমর্থন করে আসছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ভারতের সুর হয়তো সামান্যই পাল্টাবে
চীনের বিরুদ্ধে ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় মিত্র ভারত। একই সঙ্গে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।
ভারতে তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও মোদির বিরুদ্ধে তাঁর দেশ পরিচালনা নীতি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। তবে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু আসে–যায় না।
ভারতের জন্যও নভেম্বরের নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন, সেটা খুব একটা পার্থক্য তৈরি করবে না।
সম্প্রতি মেক্সিকোর মানুষ তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোর ঘনিষ্ঠ মিত্র।
ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার সময় অবরাডোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা সুবিধার ছিল না। বাইডেনের সঙ্গেও মেক্সিকোর সম্পর্কে কখনো কখনো উত্তেজনা দেখা গেছে, বিশেষ করে অভিবাস এবং সীমান্ত–বাণিজ্য নিয়ে।
শিনবাউমকে দেখাতে হবে, তাঁর আমলে দুই প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সম্পর্ক আগের মতোই যেন না থাকে। বরং তাঁকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন তিনি তার পূর্বসূরির তুলনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাঁর আচরণ ও কথার সুর পাল্টানোর চেষ্টা করতে পারেন।
ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরলে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর সীমান্তের প্রতিবেশী কানাডার জন্য তা খানিকটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ট্রাম্প কানাডায় কখনোই জনপ্রিয় ছিলেন না। এ বছরের শুরুতে কানাডায় এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশটির বেশির ভাগ মানুষের আশঙ্কা, ট্রাম্প আরও চার বছরের জন্য ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র বলে আর কিছু থাকবে না।
তবে ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা গেলও তাঁর আমলে কানাডা লাভবান হয়েছে। বিশেষ করে, একটি সফল নর্থ আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন যত এগিয় আসছে, কানাডার রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী শ্রেণি আরও বেশি বাণিজ্য উত্থানের আশায় প্রস্তুত হতে শুরু করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় যে–ই আসুন, তাঁর দেশ তার সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত থাকবে।’
- বিশ্বে যেভাবে ‘নির্যাতিত’ হচ্ছেন পুরুষরা
- দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ
- পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি
- আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য?
- কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার
- সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
- ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে রাশিয়া
- পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে
- ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা
- রমজানে কঠিন সংকটের শঙ্কা
- জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেললো ল্যাবরেটরি স্কুল, সোশ্যাল
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনে নতুন কমিটি ঘোষণা
- নিউইয়র্কে বাঙালি সংস্কৃতির দেশি নাইট
- ইমিগ্রেশন নিয়ে আতংকিত না হবার পরামর্শ মঈন চৌধুরীর
- ঢাকা ক্লাব অব আমেরিকার অভিষেক আজ
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- ‘দরদ’ নিউইয়র্কে প্রশংসা কুড়িয়েছে
- ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরোয়ানা
- সাইথ এশিয়ান আমেরিকান রিয়েলটর এসোসিয়েশন’র কমিটি গঠন
- মাহমুদ রেজা চৌধুরীর পুত্র তানজিরের ইন্তেকাল
- বাংলাদেশি দুই ভাইয়ের ১০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি
- আগে আওয়ামী লীগের বিচার পরে নির্বাচন
- হাসিনার জোট নেতারা এখন কোথায়?
- অ্যাম্বাসেডর সাদিয়ার জীবন যেমন
- বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- অবৈধদের বিতারনে ট্রাম্পের পরিকল্পনা
- সোসাইটির নতুন নেতৃত্বকে সংবর্ধনা কুমিল্লা সমিতির
- সেনাকুঞ্জে আলোচনার কেন্দ্রে খালেদা জিয়া
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- যে শর্তে ইসরাইলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ
- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার পরামর্শক পর্ষদ
- আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে হিজবুল্লাহর নাম বাদ
- শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত করছে নিউইয়র্ক
- যে কারণে নিউ ইয়র্কে চাকরি ছেড়েছেন ৫ লাখ মানুষ
- আজকের সংখ্যা আজকাল ৮৩৬
- কাল পবিত্র হজ
ঈদ রোববার - নিউইয়র্কে বাংলাদেশি খুনের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয়ে পরিবার
- যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে ‘বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’
- নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে: ডিপজল
- পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
- মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা
- নিউইয়র্ক মাতালেন মমতাজ
- পর্তুগালে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
- হজে যেতে পারেননি বহু প্রবাসী
- আজকের আজকাল সংখ্যা ৮৩১
- বিয়ে হলেও বিয়ের প্রিমিয়ার হবে না
- আনন্দ-বেদনায় কানাডা প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- তালিকা বানাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা অফিস
- খিজির হায়াৎ হত্যার পরিকল্পনাকারী ২ জঙ্গি রিমান্ডে
- দণ্ডপ্রাপ্তকে নির্বাচনের সুযোগ দিলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে
- মসজিদ ভাঙা নিয়ে চীনে বিক্ষোভ চলছে
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- ইসরায়েলের হামলায় ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত
- আবার ধেয়ে আসছে কানাডার ধোঁয়া
- হাওলাদার-নাসিরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- ৫ কোম্পানির বোতলজাত পানি মানহীন
- শ্রীনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
- রানির শেষকৃত্যে যে তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার হাজিরা সোমবার
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত