মহানবী (সা.)-এর দাফন বিলম্বিত হওয়ার কারণ
প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের সব কিছুই ধ্বংসশীল, একমাত্র আপনার মহিমাময় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া। (সুরা আর রাহমান : ২৬-২৭) আরো ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।’ (আলে ইমরান : ১৮৫) অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে।’ (সুরা আল আরাফ : ২৪, সুরা ইউনুস : ৪৯) কাজেই নবী-রাসুলদেরও মৃত্যুবরণ করা বিধিবদ্ধ।
নবী-রাসুলদের ওফাত : নবী-রাসুলরা যেহেতু মানুষ ছিলেন, সেহেতু তাঁদের মৃত্যু হওয়া স্বাভাবিক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর মুহাম্মদ একজন রাসুল মাত্র। তাঁর আগেও বহু রাসুল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন বা শহীদ হন, তবে কি তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুত কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাআলা তাদের সওয়াব দান করবেন।’ (আলে ইমরান : ১৪৪)
তবে নবী-রাসুলদের এই স্বাধীনতা দেওয়া হয় যে আপনি কি পৃথিবীতে থাকতে চান? না কি চলে যেতে চান। কিন্তু নবী-রাসুলরা চলে যাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছেন (বুখারি, হাদিস : ৬৫০৯)
ওফাতকালীন অবস্থা : রাসুলুল্লাহ (সা.) অসুস্থ অবস্থায় একদা আপন গোত্রের লোকদের উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন, ‘হে নবীর কন্যা ফাতেমা এবং হে নবীর ফুফু সাফিয়া! নেক কাজ করো, নেক কাজ করো, আমি তোমাদের আল্লাহর হাত থেকে বাঁচাতে পারব না।’ ধীরে ধীরে রোগযন্ত্রণা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিন তিনি হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে কিছু স্বর্ণমুদ্রা জমা রেখেছিলেন। তিনি তীব্র রোগযন্ত্রণার মধ্যেও বলেন, ‘আয়েশা! সেই স্বর্ণমুদ্রাগুলো কোথায়, যা আমি তোমার কাছে জমা রেখেছিলাম? আমি কি আল্লাহর সঙ্গে এ অবস্থায় মিলিত হব যে আমার ঘরে স্বর্ণমুদ্রা। এগুলো বিতরণ করে দাও।’ রোগযন্ত্রণা কখনো বৃদ্ধি পাচ্ছিল আবার কখনো হ্রাস পাচ্ছিল। ওফাতের দিন সোমবার তিনি অনেকটা সুস্থ ছিলেন। কিন্তু সময় যত গড়াতে থাকে, তিনি তত ঘন ঘন বেহুঁশ হতে থাকেন। এ অবস্থায় তাঁর পবিত্র জবানে উচ্চারিত হতে থাকে—তাঁদের দলভুক্ত করুন, আল্লাহ যাঁদের প্রতি অনুকম্পা করেছেন। কখনো বলতে থাকেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি মহান বন্ধু!’ আবার কখনো বলতে থাকেন, এখন আর কেউ নেই, তিনিই মহান বন্ধু। এ কথাটি তিনবার উচ্চারণ করেন। তখন তাঁর পবিত্র আত্মা প্রিয় বন্ধু আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যায়।
ওফাতের সময় ছিল ১১ হিজরি, মাসটি ছিল রবিউল আউয়াল, আর তারিখ ছিল ১২, দিনটি ছিল সোমবার, সময় ছিল চাশত নামাজের শেষ, বয়স ছিল ৬৩, ওফাতের স্থান হজরত আয়েশা (রা.)-এর হুজরা—তাঁর কোল। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমার প্রতি আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত হলো, আমার কোলে রাসুল (সা.) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তাঁর মুখের লালার সঙ্গে আমার মুখের লালা একত্রিত হয়েছে।’ ঘটনাটি হলো, আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রাসুল (সা.)-এর কাছে একটি মিছওয়াক হাতে নিয়ে এসেছিলেন, রাসুল (সা.) বারবার মিছওয়াকের দিকে তাকাতে দেখে হজরত আয়েশা বলেন, ‘আপনি কি মিছওয়াক করবেন?’ তখন তিনি মাথা মোবারক নেড়ে সম্মতি জানালে হজরত আয়েশা (রা.) একটি মিছওয়াক নিয়ে মুখে চিবিয়ে নরম করে রাসুল (সা.)-কে দেন। তিনি সেই মিছওয়াক দিয়ে মিছওয়াক করেন। আরো নেয়ামত হলো, তাঁর হুজরায় রাসুল (সা.) সমাহিত হন, তাঁর পবিত্রতায় কোরআনের আয়াত নাজিল হয় এবং তিনিই রাসুল (সা.)-এর একমাত্র কুমারী স্ত্রী।
ওফাত বিলম্বিত হওয়ার কারণ : মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করেছেন সোমবার চাশতের শেষ সময়। মঙ্গলবার তাঁকে গোসল দেওয়া হয়। গোসল দিয়েছেন হজরত আব্বাস (রা.), হজরত আলী (রা.), হজরত আব্বাস (রা.)-এর দুই ছেলে ফজল ও সাকাম, রাসুল (সা.)-এর আজাদকৃত ক্রীতদাস সাকরাম, ওসামা বিন যায়েদ ও আউস ইবনে খাওলা (রা.)। গোসলের পর বিশ্বনবী (সা.)-কে তিনটি ইয়েমেনি সাদা কাপড়ে কাফন পরানো হয়, অতঃপর ১০ জন ১০ জন করে সাহাবায়ে কেরাম হুজরায় প্রবেশ করে পর্যায়ক্রমে জানাজার নামাজ আদায় করেন। নামাজে কেউ ইমাম ছিলেন না। সর্বপ্রথম বনু হাশিম গোত্রের সাহাবিরা, তারপর মুহাজির, অতঃপর আনসার, তারপর অন্যান্য পুরুষ সাহাবি, অতঃপর মহিলা ও সর্বশেষে শিশুরা জানাজার নামাজ পড়ে। জানাজার নামাজ পড়তে পড়তে মঙ্গলবার সারা দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাইয়্যেদুল আম্বিয়া আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-কে হজরত আয়েশা (রা.)-এর হুজরায় দাফন করা হয়।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মৃতদের দাফন দ্রুত সম্পন্ন করো, বিলম্ব কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস ১৩১৫) তার পরও মহানবী (সা.)-এর জানাজা ও দাফন বিলম্বিত হয়েছে। এর কারণ প্রধানত তিনটি।
১. তাঁর ওফাতের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছতে বিলম্বিত হওয়া : মহানবী (সা.)-এর ওফাতের খবর শুনে হজরত ওমর (রা.) জ্ঞানহারা হয়ে যান, তিনি দাঁড়িয়ে বলতে থাকেন, কিছু কিছু মুনাফিক মনে করে যে রাসুল (সা.) ইন্তেকাল করেছেন, আসলে তিনি ইন্তেকাল করেননি। তিনি হজরত মুসা (আ.)-এর মতো সেই প্রভুর কাছে গেছেন, আবার ফিরে আসবেন। আল্লাহর শপথ—‘যারা বলে, মুহাম্মদ (সা.) ইন্তেকাল করেছেন, আমি তাদের হাত-পা কেটে ফেলব।’ হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) রাসুল (সা.)-এর ওফাতের সময় নিজ বাড়িতে ছিলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসেন। তিনি ওমর (রা.)-কে শান্ত করার জন্য বসতে বললে ওমর (রা.) না বসেই আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তখন আবু বকর সিদ্দিক (রা.) উপস্থিত সব সাহাবির সামনে সুরা আলে ইমরানের ১৪৪ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করে শোনান। তখন সবাই শান্ত হয় এবং সবাই বুঝতে পারে যে আসলেই রাসুল (সা.) ইন্তেকাল করেছেন। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘হজরত আবু বকর (রা.)-এর মুখে মুহাম্মদ (সা.) শুধু রাসুল মাত্র, তাঁর আগেও বহু রাসুল গত হয়ে গেছেন... শ্রবণ করার পর মাটিতে ঢলে পড়েছিলাম এবং স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলাম যে রাসুল সত্যি ইন্তেকাল করেছেন।’ অতঃপর সবাই ওফাতের ব্যাপারে একমত হওয়ার পর দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।
২। দাফনের স্থান নির্দিষ্ট না থাকা : মহানবী (সা.)-কে কোথায় দাফন করা হবে, তা সাহাবায়ে কেরামের জানা ছিল না। ফলে তাঁদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। কেউ কেউ বলেন, জান্নাতুল বাকিতে দাফন করা হোক, কেউ কেউ বলেন, মসজিদ-ই-নববীতে দাফন করা হোক, আবার কেউ কেউ প্রস্তাব করেন হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর পাশে সমাহিত করা হোক। এমতাবস্থায় হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, নবী যেখানেই মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই সমাহিত হন।’ অতঃপর হজরত আয়েশা (রা.)-এর হুজরায় যেখানে রাসুল (সা.) ইন্তেকাল করেন, সেখানে সমাহিত করার ব্যাপারে একমত হন।
৩। খলিফা নির্বাচনে ঐকমত্যে পৌঁছতে বিলম্ব : মহানবী (সা.)-এর স্থানে কে রাষ্ট্রের খলিফা হবেন, এ নিয়ে আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছিল। পরবর্তী সময় হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর ব্যাপারে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছলে মহানবী (সা.)-এর দাফনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

- ছাত্রদলে পদ পেতে স্ত্রীকে তালাক
- মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস
- বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী
- যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজনের বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
- ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজাবাসী
- অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে ‘প্রাচীন খুনি’
- ট্রাম্প যেন নিজেকে রাজা-বাদশাহ মনে করছেন!
- চীন থেকে ফেরত গেল যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং উড়োজাহাজ
- যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
- ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম’
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
- বিদেশে প্লট-ফ্ল্যাট রাজনীতিবিদদের
- গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ফেসবুক
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গোপন সভার ভিডিও ফাঁস
- বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কচ্ছপ খাচ্ছে গাজাবাসী
- ৬৫ দল চায় নিবন্ধন, সময় চেয়েছে ৪৬ দল
- বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত
- জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার সম্প্রসারণে উদ্যোগ
- সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শনিবার
- শোটাইম মিউজিকের বাংলা নববর্ষবরণ
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেও টিউলিপ
- হার্ভার্ডে বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করতে চান ট্রাম্প
- ইইউ’র ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
- রেমিট্যান্স ফেয়ার শুরু শনিবার: গভর্নর মনসুর যাচ্ছেন না
- ফ্লোরিডার বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ২
- বাংলাদেশ ‘জিএসপি’ সুবিধা পেতে তৎপর বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ডে প্যারেডে মানুষের ঢল
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- পথ চলার আদব!
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
- কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের মালামাল আটকে রেখেছে সাদবিরোধীরা