শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১৮৩

‘শিক্ষকদের প্রমোশনের ব্যবস্থা করতে হবে’

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯  

বাবা মায়ের দায়িত্ব সন্তানকে স্কুলে পাঠানো। আর সেই শিশুকে আলোকিত মানুষ গড়ার নেপথ্যে শিক্ষকের ভূমিকায় মুখ্য। আর সেটি যদি হয় গ্রামের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাহলে তো দায়িত্বটা আরও একধাপ বেড়ে যায়। অন্যের সন্তানকে পরম মমতায় আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সার্থকতা একমাত্র শিক্ষকতার পেশায় আছে। যা আর দশটা পেশায় এই সুযোগ নেই। এজন্য শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর।

অসংখ্য সন্তানের স্বপ্ন বুননের এই কাজে ভালবাসাও কম নয়। হাজারো সন্তানের ভালবাসা, অর্থের বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ভালবাসার টানেই শিক্ষকতার পেশাকে আপন করে নিয়েছি। সংকট আছে, হতাশা আছে, তারপরও শিশুদের ভালবাসার কাছে হার মেনেছে সবকিছু। কথাগুলো বলছিলেন যশোর সদর উপজেলার হালসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিক্তা রাণী দাস। ২০ বছরের শিক্ষকতার পেশায় অভিজ্ঞতাও কম হয়নি। আলাপচারিতায় উঠে এসেছে শিক্ষকতা জীবনের নানা সংগ্রাম আর সফলতার কথা।

রিক্তা রাণী দাস বলেন, এখনো কিছু সমস্যা আছে গ্রামে গঞ্জে। এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ বছর বয়স থেকে ভর্তি করায়। শিশু শ্রেণিতে। পরে দেখা যায় ওই শিশুকে মাদরাসায় নিয়ে ভর্তি করায়। দুটোর শিক্ষা পদ্ধতি পুরোপুরি ভিন্ন। আমরা যা শেখায় তা পুরোপুরি ভুলে যায়। ওই বাচ্চা আমাদের কাছে এসে আবার যখন ভর্তি হয় তখন আবার নতুন করে শেখাতে হয়। আমাদের নির্দেশনা আছে কেউ চলে গিয়ে আসলে তাকে আবার ভর্তি করে নেওয়ার। এক ক্লাসে দুই বছর রেখে দিতে হয়। আবার এই স্কুল থেকে চলে গেলে আমাদের খোঁজ নিতে হয় সে কি করছে। কোথায় পড়ে। পড়লে ঝরে পড়া হয় না। এই তথ্যগুলো প্রতি বছর আমাদের শিক্ষা অফিসে দেয়া লাগে।

তিনি বলেন, অভিভাবকরা এখন আগের থেকে সচেতন হয়েছে। আমি ১৯৯৮ সালে যখন শুরু করেছি তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র খুঁজে ভর্তি করাতাম। আগে তো ছেলে মেয়েরা ভর্তি হতো না। তবে এখন সবাই পড়াতে চায়।

শিক্ষকতা জীবনে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নি বলে জানান তিনি। বলেন, আমি যে সব এলাকায় শিক্ষকতা করেছি তা খুব রিমোট না। অনেক যায়গায় মেয়েরা সমস্যায় পড়ে তবে আমি পড়িনি। খুব বেশি সমস্যা না পড়লেও তবে চাকরির জীবনে পরিবারের সানিধ্য খুব বেশি পাননি। রিক্তা রানী বলেন, আমি পরিবারে সময় কম দিতে পেরেছি। চাকরি করতে হয়েছে দূরে। সময়মতো স্কুলে পৌঁছাতে আমার সকাল ছয়টার আগে বাসা থেকে বের হতে হতো। স্টুডেন্ট জীবনে বিয়ে হয়েছে। আমি যখন অনার্স প্রথম বর্ষে তখন আমার বড় ছেলে হয়। ছোট ছেলের জন্ম মাস্টার্স পরীক্ষার পর।

শিক্ষকতা পেশায় আসা সম্পর্কে তিনি বলেন, শিক্ষকতা ভালো একটা পেশা। আমার পরিবারের কেউ শিক্ষকতা পেশায় নেই। প্রথম দিকে একটা চাকরি করতে হবে এই মানসিকতায় শিক্ষকতায় আসা। তবে ধীরে ধীরে বাচ্চাদের প্রতি ভালোলাগায় থেকে যাওয়া। বাচ্চারা খুব মনে রাখে। ভালোবাসে। ভালোবাসার টানে শিক্ষকতা পেশায় আছি।

বাচ্চাদের শেখানো অবশ্যই কঠিন। রুট লেভেলের গার্ডিয়ানরা অত সচেতন না। উপরের লেভেলে পড়ানোর চেয়ে প্রাইমারিতে পড়ানো দশগুন কঠিন। যেহেতু তারা কিছুই জানে না। কথা বলতেও জানে না। শুধু লেখা পড়া শেখানো নয়, ওদের বাথরুম করা, নখ কাটা, হাত ধোয়াও শেখাতে হয়। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এসব কিছু আমাদের শেখাতে হয়।

এই বাইরেও আমাদের অনেক কাজ করতে হয়। যেমন, আদমশুমারি ছাড়াও প্রতিবছর জনসংখ্যার যে হিসাব হয় তাও আমাদের করতে হয়। ছয় মাস পর পর ছাত্রদের ওজন নেয়া। হাইট নেয়া। সে গুলো লিখে রাখা।

রিক্তা দাস আরো বলেন, সময় মেনে না চললে শিক্ষকতা জীবনে কারো অনুকরণীয় হতে পারবে না। আবার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেও ভাল হতে পারবে না। আন্তরিক হতে হবে। আমাদের ফিফটি পার্সেন্ট অভিভাবক সচেতন না। তার ভেতর থেকে তাদের সাথে লিয়াজোঁ করতে হয়।

শিক্ষকতাকে আরো পেশাদার জায়গায় নেয়ার দাবি জানিয়ে রিক্ত রাণী বলেন, শিক্ষকদের প্রমোশনের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘদিন পর ২০১৪ সাথে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক এরপর ধীরে ধীরে শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতির ব্যবস্থা করলে মেধাবিরা এই পেশায় নিশ্চয়ই আসবে। ১৯৯৬ সালে আমি মাস্টার্স করেছি। যদি আমি ব্যাংকে চাকরি করতাম। তাহলে একই পদে থাকতাম না। আমি চলে যাব তাও মনে হয় প্রমোশন হবে না। শিক্ষা অফিসে যে ড্রাইভার আছে আমার সহকারি শিক্ষকরা তাদেরও নিচের ক্লাসে চাকরি করেন। কোন উপায় না পেয়ে এই চাকরি করেন।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল