৬০০ লাখ কোটি সূর্যের ঝলসানি দেখল নাসা
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

হ্মাণ্ডের ভোর হওয়ার সময় সবচেয়ে উজ্জ্বল মহাজাগতিক বস্তুটির হদিস মিলল। ঠিকরে বেরিয়ে আসা আলোয় এখনও যা অসম্ভব রকমের ঝকঝকে। ঝলমলে। ১ হাজার ২৮০ কোটি বছর আগেকার সেই অসম্ভব জোরালো আলো। ৬০০ লাখ কোটি সূর্য এক সঙ্গে জ্বললে, যে পরিমাণ আলো হয়, ততটাই উজ্জ্বলতা ছিল সেই আলোর।
বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণের পর জমাট বাঁধা অন্ধকার ফুঁড়ে তখন সবে ভোর হয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডে। নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ তো দূরের কথা, কোনও গ্যালাক্সিরও জন্ম হয়নি। সেই গ্যালাক্সির যেটা ভ্রূণ, সেই কোয়েজারও তখন সবে চেহারা নিতে শুরু করেছে। যাকে ‘প্রোটো-কোয়েজার’ও বলা যায়। মেরেকেটে তার ১০০ কোটি বছর আগে হয়েছে সেই বিগ ব্যাং। কোয়েজারটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘J043947.08+163415.7’।
আদিমতম ব্রহ্মাণ্ডের সেই সৃষ্টি-প্রক্রিয়া দেখল নাসার হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপ। এই প্রথম। নাসা জানিয়েছে, বিগ ব্যাংয়ের পর সুদূরতম অতীতের কোনও মহাজাগতিক বস্তুকে এতটা উজ্জ্বলভাবে এর আগে দেখা যায়নি।
দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোলের চার পাশে তখন আলোর বলয়!
আর সেই ঘটনাটা যখন ঘটেছিল, তার আগেই দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরদের জন্ম হয়েছে। গ্যালাক্সি তৈরি হওয়ার জন্য যে অত্যন্ত ঘন গ্যাসের জমাট বাঁধা মেঘের সঙ্গে ধাতব পদার্থের ধুলাবালিও লাগে, তখনও তৈরি হয়নি সেই ধুলাবালি। ছিল শুধুই হাইড্রোজেন আর হিলিয়ামের জমাট বাঁধা গ্যাসের অত্যন্ত ঘন মেঘ। জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে সেই সব কিছুই তখন গিলে, চেটেপুটে খেতে শুরু করে দিয়েছে ব্ল্যাক হোলগুলো। আর তার পেটে ঢুকছে যে গ্যাসের জমাট বাঁধা মেঘ, তারা অতলের আহ্বানে তলিয়ে যাওয়ার সময় চার পাশে ছড়াচ্ছে বিকিরণ। সেই বিকিরণই ব্ল্যাক হোলের চার পাশে এক ধরনের আলোর বলয় তৈরি করছে।
অত দূরের ঘটনা কীভাবে হয়ে উঠল উজ্জ্বলতম?
বিগ ব্যাংয়ের সামান্য সময় পরেই সদ্য জন্মানো সেই কোয়েজার, যা কি না রয়েছে আমাদের থেকে ১২৮০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে, কীভাবে তাকে এতটা উজ্জ্বলভাবে দেখতে পেল হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপ?
নাসা জানিয়েছে, তার আদত কারণটি। বলেছে, পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা বড় একটা গ্যালাক্সি হঠাৎই সামনে এসে পড়েছিল হাব্ল টেলিস্কোপের। আর তাতেই কেল্লা ফতে! ওই বড় গ্যালাক্সিটাই তখন হাব্লের সামনে হয়ে পড়ে একটি আতস কাচ বা ম্যাগনিফাইং গ্লাস।
সামনে আতস কাচ ধরলে যেমন সব কিছুকেই অনেক গুণ বড় করে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। আর যাকে বড় চেহারায় দেখতে চাইছি, আতস কাচকে তার থেকে যত দূরে নিয়ে গিয়ে আমাদের চোখের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়, ততই তাকে আমরা আরও বড় চেহারায় দেখতে পাই। আর সেই বস্তুটি থেকে যদি আলো ঠিকরে বেরয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে তার উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় অনেক গুণ।
ব্রহ্মাণ্ডের উজ্জ্বলতম কোয়েজারটি দেখার সময়েও সেই ঘটনাটা ঘটেছে। এর মানে, ওই কোয়েজারটিকে উজ্জ্বলভাবে দেখার জন্য যে গ্যালাক্সিটা আতস কাচের মতো কাজ করেছে, সেই গ্যালাক্সিটা ছিল পৃথিবীর কাছাকাছি। না হলে, ওই কোয়জারটিকে অতটা উজ্জ্বলভাবে দেখা সম্ভব হত না।
‘গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং’ কী জিনিস?
মহাকাশে কোনও মহাজাগতিক বস্তুকে আতস কাচের মতো ব্যবহার করে অনেক দূরের ঘটনাকে দেখার কৌশলকে বলা হয় ‘গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং’।
যে কোনও মহাজাগতিক বস্তুরই ভর থাকে। থাকে অভিকর্ষ বলও। ভরের তারতম্যে তার সেই বলেরও ফারাক ঘটে। যার ভর যত বেশি, তার অভিকর্ষ বল ততটাই জোরালো হয়। আর সেই অভিকর্ষ বলের জন্যই ব্রহ্মাণ্ডের স্থান ও কাল (স্পেস অ্যান্ড টাইম) বেঁকেচুরে যায়। ফলে, খুব দূরের জিনিস থেকে বেরিয়ে আসা আলোর গতিপথকেও বাঁকিয়েচুরিয়ে দিয়ে তাকে কাছে টেনে আনে। তার ফলে সেই দূরের বস্তুটিও উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠে। আবার ‘আতস কাচ’ হয়ে ওঠা সামনের সেই গ্যালাক্সিটা যখন সরে যায়, তখন দূরাগত সেই আলোর উজ্জ্বলতাও কমে যায়।
এর চেয়ে উজ্বল কোয়েজার দেখার আশা করি না, বলছেন গবেষকরা
এক দিন, দু’দিন বা দু’-এক বছর নয়। টানা ২০ বছর ধরে ওই কোয়েজারটির উপর নজর রেখে এসেছেন গবেষকরা। নিয়মিতভাবে। মূল গবেষক টাকসনের আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিয়াওহুই ফ্যান তাদের গবেষণাপত্রে লিখেছেন, ‘ব্রহ্মাণ্ডের যতটা অংশ এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান, তার মধ্যে এর চেয়ে উজ্জ্বল কোনও কোয়েজার আর দেখা যাবে বলে আশাও করি না।’
তারা জানিয়েছেন, যে গ্যালাক্সির ভ্রূণ ওই কোয়েজারটি, সেই গ্যালাক্সিতে খুব দ্রুত হারে চলছিল তখন নক্ষত্র-সৃষ্টির প্রক্রিয়া।
বছরে ১০ হাজারেরও বেশি তারা জন্মাচ্ছিল ওই শিশু গ্যালাক্সিতে!
কতটা দ্রুত, জানেন? একটা পার্থিব বছরে ১০ হাজারেরও বেশি নক্ষত্রের জন্ম হচ্ছিল তখন ওই গ্যালাক্সিতে। সেটা কতটা দ্রুত, তা বুঝতে আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যেতে পারে। আমাদের মিল্কি ওয়েতে এক বছরে গড়ে একটি করে নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়।
অত দূরের কোয়েজারেও ‘দূষণের বিষে’ নীল হয়নি!
এই ঘটনা দেখাল, কোনও দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোল তার আশপাশের গ্যাস, ধুলোবালি, সব কিছু গিলে ও চেটেপুটে খাওয়ার সময় মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া অত্যন্ত ঘন গ্যাসের মেঘ থেকে গ্যালাক্সির ভ্রূণ কোয়েজারও তৈরি করতে পারে। যার থেকে পরে জন্ম হয় গ্যালাক্সির।
এ ক্ষেত্রে আরও একটি ঘটনা নজর কাড়ার মতো। সেটি হল একেবারে লাল রংয়েই ধরা পড়েছে প্রায় আদিমতম ব্রহ্মাণ্ডে কোনও কোয়েজারের জন্মের সেই আলো। সাধারণত, অত দূর থেকে আসা আলোকে অনেক গ্যালাক্সি পেরিয়ে এসে পৌঁছাতে হয় আমাদের কাছে। আমাদের নাগালে। আমাদের ধরা-ছোঁয়ার মধ্যে। তার ফলে, গ্যালাক্সির আলো ‘বিষিয়ে’ দেয় সেই দূরাগত আলোকে। তাকে নীল করে দেয়। কিন্তু এই আলো সেই অর্থে, ‘দূষণমুক্ত’ই থেকে গেছে।

- ছাত্রদলে পদ পেতে স্ত্রীকে তালাক
- মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস
- বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী
- যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজনের বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
- ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজাবাসী
- অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে ‘প্রাচীন খুনি’
- ট্রাম্প যেন নিজেকে রাজা-বাদশাহ মনে করছেন!
- চীন থেকে ফেরত গেল যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং উড়োজাহাজ
- যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
- ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম’
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
- বিদেশে প্লট-ফ্ল্যাট রাজনীতিবিদদের
- গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ফেসবুক
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গোপন সভার ভিডিও ফাঁস
- বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কচ্ছপ খাচ্ছে গাজাবাসী
- ৬৫ দল চায় নিবন্ধন, সময় চেয়েছে ৪৬ দল
- বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত
- জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার সম্প্রসারণে উদ্যোগ
- সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শনিবার
- শোটাইম মিউজিকের বাংলা নববর্ষবরণ
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেও টিউলিপ
- হার্ভার্ডে বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করতে চান ট্রাম্প
- ইইউ’র ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
- রেমিট্যান্স ফেয়ার শুরু শনিবার: গভর্নর মনসুর যাচ্ছেন না
- ফ্লোরিডার বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ২
- বাংলাদেশ ‘জিএসপি’ সুবিধা পেতে তৎপর বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ডে প্যারেডে মানুষের ঢল
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

- ‘গুগল প্লাস’ বন্ধ হচ্ছে
- টেসলা সিইওর ৫ হাজার কোটি ডলার বেতন যৌক্তিক!
- ছবি এডিটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়
- টয়োটার মানব রোবট ৬ মাইল দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য
- ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্মাননা পেলেন অর্থমন্ত্রী
- সাবধান! হেডফোনে গান শুনতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু
- ফেসবুক অফিসে বোমাতঙ্ক
- হয়রানি বন্ধে ফেসবুকে নতুন ফিচার
- কেমন হবে নকিয়ার নতুন ফোন ৮.১? জেনে নিন বিস্তারিত…
- তরুণরাই এগিয়ে নিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশকে : অর্থমন্ত্রী
- ভাঁজ করা যাবে এই ফোন
- গুগল ম্যাপসে বন্ধুকে লোকেশন জানাবেন যেভাবে
- এআই ব্যবহারের অনুমতি পেল শিক্ষার্থীরা
- ফেসবুক ব্যবহারেও এখন করতে হবে টাকা খরচ
- ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর